১৪নভেম্বর শুক্রবার ‘চন্দ্রমুখী’ নাটকের দুইটি প্রদর্শনী

Chondromukhi1বিনোদন প্রতিবেদক: শক্তিমান নাট্যকার মান্না হীরার নাটকে জীবন যেন ফুটে উঠে ক্যানভাসে আঁকা মুর্ত চিত্রের মতো। ভেজাল খাদ্য সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে তিনি নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন সংগঠনের জন্য লিখেছেন তার নতুন নাটক ‘চন্দ্রমুখী’। পথনাটক হলেও মাত্র দুইটি প্রদর্শনীতে নাট্যাঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন “চন্দ্রমুখী”। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন, মনিরুল হোসেন শিপন। ক্রমান্নয়ে সারা দেশের আনাচে কানাচে নাটকটির প্রদর্শন করবে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন। এরি ধারাবাহিকতায় আজ (১৪নভেম্বর) শুক্রবার ‘চন্দ্রমুখী’ নাটকের দুইটি প্রদর্শনী হবে। একটি বিকেল ৪টায় ইঞ্জিনিয়ারস ইনিস্টিটিউট প্রাঙ্গনে আরেকটি বিকেল ৫টায় শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গনে। মঞ্চে থাকবেন, লিঠু রানী মন্ডল, হাশিম মাসুদ, ফাহমিদা পলি, নিথর মাহবুব, জুয়েল মিজি, শামিমা শওকত লাভলি, সাদিকা ইয়াসমিন শান্তা শাহেদ, সুজন আহম্মেদ সময়, শাহ্রান, ইমন।
নাটকের গল্পে, বাজারে এক গাছের নিচে নিচে মফিজ ফল বিক্রি করে আর শুরেশ মাছ বিক্রি করে। দুই জনের মধ্যে বন্ধুতপূর্ণ সম্পর্ক। মফিজ জানতে পারে সরেশের দুই বছরের কন্যার চন্দ্রমুখীর আজ জন্মদিন। মফিজ চন্দ্রমুখীর জন্য একহালি কমলা উপহার হিসেবে সুরেশের হাতে তুলে দেয়। সেই কমলা খেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয় চন্দ্রমুখী। অসুস্থ চন্দ্রমুখীর যখন চিকিৎসা চলছে তার উদ্বিগ পিতা সুরেশ তখন জানতে পারে মফিজের দেয়া কমলায় ফরমালিন বা অন্য কোন কেমিক্যাল জাতীয় বিষ মেশানো ছিল যা সে নিজেও ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। অনুতপ্ত ফল বিক্রেতা মফিজ জনতার কাছে ক্ষমা চায়। ততক্ষণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় থানায়। বিষাক্ত ফল খেয়ে মৃত্যু হয় চন্দ্রমুখীর। আর্তনাদ করে ওঠে চন্দ্রমুখীর বাবা মা- সে আর্তনাদ ছড়িয়ে পড়ে হাজারো দর্শকের হৃদয়ে। গানের সুর করেছেন পরিমল। আবহ সঙ্গীতে, সোহান, সময়। পোষাক পরিকল্পনায় শামীমা শওকত লাভলী। কোরিওগ্রাফীতে সাদিকা ইয়াসমিন শান্তনা। মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় শাখাওয়াত হোসেন শিমুল। সার্বিক তত্বাবধানে মোমেনা চৌধুরী। প্রযোজনা অধিকর্তা প্রকৌশলী বদরুল আমিন।