৩৭ নেতাকর্মীসহ বিয়ানীবাজারের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পল্লব কারাগারে
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিস্ফোরক মামলায় বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেম পল্লব সহ ৩৭ আসামির জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট ২য় আদালতের বিচারক বেগম জেরিন সুলতানা তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, বিয়ানীবাজার থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত জিআর-১৮০/২০১৪ ও ১৮১/২০১৪ মামলায় আদালতে জামিন নিতে আসেন আবুল কাশেম পল্লবসহ নেতাকর্মীরা । আদালতে পল্লবসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৩৭ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। আবুল কাশেম পল্লব ছাড়াও জেলহাজতে প্রেরণ করা ৩৭ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী হচ্ছেন- মাছুম আহমদ, অজিত আচার্য্য, বাবুল আহমদ, এমিল আহমদ, নাছির আহমদ, তোফায়েল আহমদ, গৌছ উদ্দিন, সাজন আহমদ, জাফর আহমদ, ছিদ্দিকুর রহমান, কাওছার আহমদ, ইমন উদ্দিন, এমদাদ আহমদ, মান্নান মিয়া, রাহেল আহমদ, কানন আহমদ, রাব্বী হোসেন, শামীম আহমদ, পুলক দাস, সাজু মিয়া, মিজান উদ্দিন, রিপন পদকর, হিমেল আহমদ, সুমন আহমদ, তারেক আহমদ, বদরুল ইসলাম, মঞ্জুর মিয়া, রমজান আলী, ছিদ্দিকুর রহমান, রেজা আহমদ, রাজন আহমদ, এমদাদ হোসেন, সুমন আহমদ জামাল, সাগর ও আলমাছ।
প্রসঙ্গত, বিয়ানীবাজার পৌর এলাকায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম পল্লব ও সাবেক আহবায়ক জামাল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে থানার ওসিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগের জামাল গ্রুপকে লক্ষ্য করে পল্লব গ্রুপ বেশ কয়েক রাউন্ড বন্দুকের গুলি ছুঁড়ে বলে অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পল্লব গ্রুপ ও জামাল গ্রুপ একে অন্যের অফিসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। পরে শহরে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এই ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদি হয়ে ৫৩ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে দন্ডবিধির ১৪৭/১৪৮/৩৫৩/৩৩২/৩৩৩/৩৪ ধারাসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩ ধারায় মামলা দায়ের করেন।