গোয়ইনঘাট উপজেলার মধ্যে রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা
“হেমন্তে পাও বর্ষায় নাও”
দূর্গেশ চন্দ্র সরকার (বাপ্পী) গোয়াইনঘাট (সিলেট) থেকেঃ গোয়ইনঘাট উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মধে ৫টি ইউনিয়নের জনসাধারণের সিলেট সদর এর সঙ্গে যোগাযোগের এক মাত্র রাস্তা সালুটিকর -গোয়াইনঘাট রাস্তাটিও বেহাল দশা। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে নীরব।গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের মধ্যে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা বেশ কিছু গ্রাম আছে হেমন্তে পায়ে হেটে বর্ষায় নৌকা নিয়ে চলা ফেরা করতে হয়। জলুরমুখ,চলিতা বাড়ী ,দ্বারীপাড়,দারীকান্দি,কদমতলা,কচুয়াপাড়, গ্রামগুলুর এক মাত্র ভরস হেমন্তে পায়ে হেটে বর্ষায় নৌকা দিয়ে গোয়াইঘাট,সালুটিকর বাজার – সিলেট সদরে সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সালুটিকর বাজার হইতে কচুয়ারপার, চলিতাবাড়ী, জলুরমুখ পর্যন্ত ১৫কিঃমিঃ রাস্তার মধ্যে সালুটিব-–কচুয়াপার পর্যস্ত রাস্তা কাচঁ ও নিচু হওয়াতে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদা সৃষ্টি হয়। কচুয়ারপার হইতে জলুরমুখ ও চলিতা বাড়ী কোন রাস্তা নেই হেমন্ত এলেই চেগেরখালের নদী পার ও হাওরের মধ্যে দিয়ে পায়ে হেঁটে জন সাধারণ স্কুল/কলেজের ছাত্র/ছাত্রীরা চলাফেরা করতে হয় ৫কিঃমিঃ রাস্তা। বর্ষা এলেই পানির নিচে তলিয়ে যায় রাস্তাটি,সালুটিকর গোয়াইঘাট রাস্তা হতে ৩ কিঃ কদমতল,দারীপাড় গ্রামে রাস্তার একেই অবস্থা।গ্রাম গুলির জন সাধারণের চলা চলের এক মাত্র উপায় হেমন্তে পাঁয়ে হেঁটে বা বর্ষায় ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলাফেরা করতে হয়। জনসাধারণ ও স্কুল/ মাদ্রাসার ও কলেজেরগ্রামী ছাত্র/ছাত্রীরা অতি কষ্ট করে চলাফেরা করে আসছে। অত্র এলাকায় গুলিতে সার্বিক উন্নয়ন হতে বঞ্চিত। জলুর মুখ, চলিতা বাড়ীর ,দ্বারীপার ,দারীকান্দি ,কদমতলা কয়েক জনের সাথে কথা বললে হেমন্ত নমঃ,রহিম উদ্দিন, ফারুক মিয়া, আক্কছ মিয়া ও আরও অনেকেই জানান,আমাদের গ্রাম গুলি রাস্তাঘাট উ্ন্নয় হয় মুখে মুখে নির্বাচন এলেই। নির্বাচন শেষের হলেই আমাদের জনসাধারণ সাবির্ক উন্নয়ন শেষ হয়ে যায়। এ বিষয়ে নন্দিঁর গাঁও ইউ/পি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ(শাহীন) বলেন আমাদের ইউ/পি রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে পরিমান বরাদ্ধ দেওয়া হয় তা চাহিদার তুলনা মুলক অনেক কম, তা দিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করি রাস্তা ঘাটের উন্নয় করতে।
গোয়াইঘাটের ৫টি ইউনিয়নের এদকমাত্র সিলেট সদরের সঙ্গে যোগাযোগের
রাস্তাটিও বেহাল দশা ,গুরুতর অসুস্থ রোগী নিয়ে সিলেট সদর এর যাওয়ার জন্য গোয়াইনঘাট উপজেলার ৫টি ইউ/পি জন সাধারণের এক মাত্র রাস্তা গোয়াইনঘাট সালুটিকর রাস্তাটি। ২০০৪ এর বন্যা পর থেকে এ পর্যন্ত এ রাস্তা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না । এই রাস্তাটিও খানাখন্দে ভরা রাস্তটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় দুর্ভোগপোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। এ রাস্তা অনেক জাগায় ইট সরে গেছে ,অনেক জাগায় পাকা উটে গিয়ে রড ভেরিয়ে পরেছে, প্রতিটি ব্রিজের মুখে এব্রথেব্র হয়ে পড়ছে এতে করে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট/বড় অসংখ গর্ত সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে জমে থাকে পানি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সালুটিকর হইতে হাদারপার ও গোয়াইনাঘট উপজেলা এক মাত্র রাস্তা। বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারীর পাথর ও বালী পরিবহনেবর একমাত্র সড়ক এটি,যা থেকে সরকার প্রতি বছর অনেক টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। কিন্তু বছরের পর বছর বছর সড়ক এমন অবস্থায় পড়ে থাকলেও এ সড়কের সংস্কারের কোনো উদ্দ্যোগ নেয়া হয়নি,হচ্ছে না। এত করে প্রতি দিন ঘটছে র্দুঘটনা অনেক সময় অসুস্থ রোগী নিয়ে সিলেট সদরে যাওয়ার পথে মারা যায় অনেক রোগী । সিলেট জেলার গোয়াইনগাটের আঞ্চলিক ট্রাক শ্রমিকের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন অনেক আগেই যান চলাচলের অন-উপযোগী হয়ে পরেছে এ সড়ক ,মাঝে মাঝে নিজেদের উদ্দোগও এলাকা বাসির সহযোগীতায় নিয়ে পাথর ও বালী দিয়ে গর্ত গুলি ভরে থাকি। সালুটিকর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পদক মোঃ শামীম আহমদ ও পাথর ব্যবসায়ী মোঃ মহিবুর রহমান জানান এলাকার রাস্তার কারনে অনেক সময় দূরঘটনা ঘটে,এর পরেও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে নীরব ভুমিকা পালন করে আসছে। গোয়ানইঘাট উপজেলার জন সাধারণ ও সকল শ্রেনী ব্যবসায়ীরা ও জনসাধারণের আকুল আবেদন এই ব্যাপারে সরকারের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ সুদৃষ্টি দেবেন বলে আশা করেন ।