৭ই নভেম্বরের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানা থেকে বিরত রাখতেই সমাবেশে বাধা দিয়েছে সরকার

সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এডভোকেট নুরুল হক

Sylhet Jela and mohanogor photo 09.11.14সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট নুরুল হক বলেছেন, সরকার প্রশাসনকে তাদের দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীর ন্যায় পরিচালনা করতে গিয়ে দেশকে পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে ভুলুন্ঠিত করে আওয়ামীলীগ এক দলীয় বাকশাল কায়েম করতেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে অন্যায়ভাবে বাধা প্রদান করছে। ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের জাতি সত্তার প্রেরণার উৎস। জাতিকে ৭ই নভেম্বরের প্রকৃত ইতিহাস জানা থেকে বিরত রাখতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির শনিবারের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি সরকার। আওয়ামীলীগ মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ভয় পায় বলেই জিয়া পরিবারকে ধ্বংসের সুদুরপ্রসারী ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। ৭ই নভেম্বরের চেতনা বুকে ধারনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে দেশপ্রেমিক জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাপিয়ে পড়বে।
তিনি গতকাল রোববার কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ পুলিশী অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
নগরীর ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নবগঠিত সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা: শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। তারা ভিন্ন পথে ক্ষমতায় এসে বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। জাতিকে প্রকৃত ইতিহাস জানা থেকে বিরত রেখে বিকৃত ইতিহাস জাতির কাছে তুলে ধরতে চায়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ ও জাতির চরমক্রান্তিকালে মহান স্বাধীনতার ঘোষণার মতোই আবারও সিপাহী জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে জাতিকে একটি মহা দুর্যোগ থেকে রক্ষা করেছিলেন শহীদ জিয়া। এই ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা থেকে বিরত রাখতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশে বাধা প্রদান করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আহমদ ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর শাহীন এর যৌথ পরিচালনায় নগরীর ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপি অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতা আশরাফ আলীর কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সূচীত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল গাফফার, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মান্নান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্যানেল মেয়ার রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, আহাদুসামাদ চৌধুরী, ফয়জুর রহমান জাহেদ এডভোকেট, মিফতা সিদ্দিকী, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, মাহবুব চৌধুরী, ডা: নাজমূল ইসলাম, সিটি কাউন্সিলর সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন ও সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম হাদী, আব্দুস সাত্তার, মুকুল মুর্শেদ, সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, মুফতি নেহাল উদ্দিন, বদরুন্নুর শায়েখ, বিএনপি নেতা শামীম মজুমদার, আশরাফ গাজী, আব্দুস সাত্তার আমীন, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আহমদুর রহমান চৌধুরী, বিএনপি নেতা হাবিব আহমদ চৌধুরী শেলু, শেখ মো: ইলিয়াস আলী, আবুল কাশেম, আব্দুস শুকুর, আব্দুল কাদের মালেক, মো: আরিফ হোসেন, পিয়ার উদ্দিন পিয়ার, আবুল কালাম, আফজল আহমদ, মন্তাজ মুন্না, আব্দুল আহাদ হেলাল, নুরুল মুস্তাকিম, নুরুল আমীন, শফিকুর রহমান, সাবেক সিটি কাউন্সিলর সেলিম আহমদ রনি, সোহেল আহমদ, আতাউর রহমান কাচা মিয়া, এম.এ হাসিব, শামীম আহমদ, হাজী মো: কনা মিয়া, ওয়ারিছ আলী, মুরাদ হোসেন, জমির মেম্বার, আল মামুন, দেলোয়ার হোসেন জয়, আঙ্গুর আলম, দুলাল রেজা, আনোয়ার হোসেন মানিক, মমতাজ হোসেন মন্নু, শাহাব উদ্দিন, মাসুদ আহমদ, এনামূল হক জাবেদ, সোহেল, আজিজুর রহমান আজিজ, সাব্বির, আব্দুস সোবহান, সাঈদ আহমদ, এইচ এম খলিল, শাহ মাহমুদ আলী, বজলুর রহমান ফয়েজ, এম ্এ লতিফ, মো: জাকারিয়া খান, এম.এ রহিম, মোস্তাকুর রহমান রুমন, শফিক নূর, এমদাদ হোসেন এমদাদ, শাহীন আহমদ, আবু সাঈদ তায়েফ, সালাহ উদ্দিন, হোসেন আহমদ রুহুল, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আলম, আলী হায়দার, মাহফুজ সামাদ, রেজওয়ান আহমদ, আল মামুন খান, সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর মইন উদ্দিন, জমির উদ্দিন, আরব আলী, রিপন মিয়া, ইউনুছ আলী, গিয়াস আহমদ, সাবু উদ্দিন সাবু, জিএম আজম, ওয়াহিদুস সামাদ পাপলু, ফয়সল আহমদ, হোসেন আহমদ, বাবর আহমদ, আবু হানিফ, রুহেল আহমদ, আব্দুর রকীব, নজির হোসেন, আজিমুজ্জামান, আমিনুল হক, ইউসুফ, রাসেল, রফিকুর রহমান, জাবেদ আমীন সেলিম, শাহেদুল ইসলাম বাচ্চু, আজাদ মিয়া, আব্দুল আহাদ, আজির উদ্দিন, সোনাহর আলী সোহেল, মইনুল ইসলাম মনজু, আশরাফুল আলম বাহার, সামছুল ইসলাম, আল মামুন, মোস্তাক আহমদ, মামুন আহমদ, মুক্তাদির আহমদ, সোহেল ইবনে রাজা, শ্রমিক দল নেতা মোঃ সুরমান আলী, ইউসুফ মিয়া, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল নেতা দিলাল আহমদ, মেহরাজ চৌধুরী, নওফেল চৌধুরী, তানভীর হোসাইন, কয়েস ইবনে খায়ের প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়ে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দেশ ও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে বিধায় অবৈধ সরকার পতনের লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছে। সরকার যদি আমাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে দুর্বলতা মনে করে তাহলে তারা বোকার রাজ্যে বাস করছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের সর্বস্তরের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে পড়তে প্রস্তুত রয়েছে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর মিথ্যা মামলা ও নিপীড়ন-নির্যাতনের হিংসাত্মক রাজনীতি পরিহার করে আওয়ামীলীগকে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসতে হবে। অন্যথায় তাদেরকে ইতিহাসেক লজ্জাজনক পরিণত বরণ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি