সিলেট মহানগর জামায়াতের তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিল
বিচারের নামে অবিচার করে কামারুজ্জামানকে হত্যার চেষ্টা করা হলে আওয়ামীলীগকে চরম মুল্য দিতে হবে
————–সিলেট মহানগর জামায়াত
সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামীলীগ জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করতে উচ্চ আদালতকে তাদের আজ্ঞাবহ দাস হিসেবে পরিনত করেছে। বানোয়াট কল্প কাহিনী সাজিয়ে, ভুয়া স্বাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে দেশি-বিদেশী আইন ও মানবাধিকার সংস্থা কর্তৃক প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত মৃত্যুদন্ডের রায় বহালের মাধ্যমে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মু. কামারুজ্জামানকে বিচারিক হত্যার ষোলকলা পুরন করতে যাচ্ছে আওয়ামী সরকার। শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার পর মু. কামারুজ্জামানকে জ্যুডিশিয়াল কিলিংয়ের চেষ্টা করা হলে আওয়ামীলীগকে চরম মুল্য দিতে হবে। সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন মৃত্যুদন্ডের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপুর্ন কর্মসুচীকে যদি সরকার দুর্বলতা মনে করে থাকে তাহলে তারা বোকার রাজ্যে বসবাস করছে। আর কোন অন্যায় মৃত্যুদন্ডের রায় কার্যকরের চেষ্টা করা হলে দেশপ্রেমিক ইসলামপ্রিয় জনতাকে সাথে আওয়ামী মসনদ গুড়িয়ে দেয়া হবে।
তারা বলেন, ১৯৭১ সালে ১৮ বছরের যুবক কামারুজ্জামানকে মিডিয়া-ট্রায়াল-এর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী সাজিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র জাতির কাছে পরিস্কার। কোন অপরাধ নয় ইসলামী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারনে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে বিচারিক হত্যা করে এদেশ থেকে ইসলাম নির্মুলের ষড়যন্ত্র কোনদিন সফল হবে না। আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যার্থ হয়ে নিরীহ জামায়াত নেতাদের বিচারিক হত্যার ধ্বংসাত্মক রাজনীতি সরে আসুন । অন্যথায় ইতিহাস আওয়ামীলীগকে ক্ষমা করবে না। লক্ষ লক্ষ আব্দুল কাদের মোল্লা আর কামারুজ্জামান রা এদেশে কোরআনের সমাজ বিনির্মানের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
গতকাল সোমবার প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক দেয়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মু. কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ডের রায় আপীল বিভাগে বহাল রাখার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সিলেট মহানগর জামায়াত। এই রায়ের প্রতিবাদে নগরীর মজুমদারী ও কুয়ারপাড় এলাকায় পৃথকভাবে তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর সহকারী সেক্রেটারী মো: শাহজাহান আলী, জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ আল মুনিম, মু. আজিজুল ইসলাম, মু. আনোয়ার আলী, এডভোকেট আজিম উদ্দিন, ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি মু. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
হরতাল চলাকালে নগরীর থানায় থানায় জামায়াতের পৃথক মিছিল
আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদন্ডের রায়ের প্রতিবাদে জামায়াত কেন্দ্র আহুত ১ম দফার ৭২ ঘন্টার হরতালের শেষ দিন সোমবার সকাল থেকেই নগরীর সকল গুরুত্বপুর্ন পয়েন্টে পিকেটিং শেষে পৃথক পৃথক স্থানে মিছিল সমাবেশ করেছে মহানগর জামায়াত।
সোমবার হরতাল চলাকালে নগরীর শেখঘাট, পাঠানটুলা, নয়াসড়ক, দক্ষিন সুরমা ও শাহপরান গেইট সহ পৃথক পৃথক স্থানে অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মো: শাহজাহান আলী, জামায়াত নেতা জামায়াত নেতা মুফতী আলী হায়দার, মাওলানা আব্দুল মুকিত, মাওলানা মুজিবুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মুনিম, শামীম আহমদ, মু. আজিজুল ইসলাম, ক্বারী আলাউদ্দিন, চৌধুরী আব্দুল বাছিত নাহির, মু. আনোয়ার আলী , ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান কবির রিপন ও মাহমুদুর রহমান দিলওয়ার প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
শান্তিপুর্ন মিছিলে পুলিশী হামলা ও গণগ্রেফতারের
ঘটনায় সিলেট মহানগর জামায়াতের নিন্দা
সোমবার হরতাল চলাকালে নগরীতে জামায়াতের শান্তিপুর্ণ মিছিলে পুলিশী হামলা ও গনগ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
এক যৌথ বিবৃতিতে সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে একের পর এক নিরীহ নিরপরাধ জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ফরমায়েশী মৃত্যুদন্ডের রায় প্রদান করছে। এসব অন্যায় ও জুলুমের শান্তিপুর্ন প্রতিবাদের ভাষাটুকও কেড়ে নিতে চাচ্ছে, যা মানবাধিকার ও সংবিধান পরিপন্থি। আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ে প্রতিবাদে সিলেট সহ সারা দেশে জামায়াতের শান্তিপুর্ন নজিরবিহীন হরতাল পালিত হচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় অতিউৎসাহী সদস্য সিলেটের শান্ত পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার সুদুঢ়প্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সোমবার নগরীতে জামায়াতের শান্তিপুর্ণ মিছিলে গুলী, টিয়ার শেল, লাটিচার্জ ও গণগ্রেফতার চালায়। ফলে নিরীহ ১০জন নেতাকর্মী আহত হন এবং ৩০ জনেরও বেশী নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। জনগনের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদেরকে সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর মত ব্যাবহৃত না হয়ে জনগনের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানান তারা। একই সাথে অন্যায়ভাবে আটক সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং গণগ্রেফতার বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিও আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি