প্রধানমন্ত্রী হতে চান না, ন্যায়বিচার চান খালেদা জিয়া
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের জন্য আন্দোলন করছেন দাবি করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হতে চান না বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি কিছু চাই না। দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, সে ইচ্ছেও নেই। দেশ রক্ষা, মানুষকে বাঁচাতে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছি।’ বিচারকদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে তাদের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘ন্যায়বিচার করুন। আল্লাহর কাছে একদিন জবাবদিহি করতে হবে। অভিশংসনের ভয় না করে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন।’
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী জনসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তরাঞ্চলের জেলা নাটোরে এ জনসভা করেন তিনি। শনিবার বিকেলে নাটোর ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে জেলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্রুত একটি নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তরাঞ্চলের জেলা নাটোরে এই জনসভা করেছেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘নতুন ভোটারদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তরুণ ভোটারদের সেই অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। ভোটারবিহীন সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছি।’ দেশ রক্ষার জন্য আরেকবার আন্দোলন করতে দেশের তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ক্ষমতায় এলে তার সরকার দেশের উন্নয়নে কিভাবে কাজ করবে তিনি সে সবের ব্যাখ্যা দেন। বিএনপি প্রধান বলেন, ‘ক্ষমতায় এলে কিভাবে উন্নয়ন করা হবে, সে ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে রেখেছে বিএনপি। সবাই মিলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহনে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন চায়। কিন্তু এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পাওে না। কারন, তারা এর আগে ভোট কেন্দ্র দখল করেছে, ভোটবাক্স ছিনতাই করেছে।’ জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন খালেদা। জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান পটল, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিরুল হক, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদ মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ। জোটের শরিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাাময়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, জামায়াত নেতা ড. রেদওয়ান উল্লাহ সাহিদী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা অধ্যক্ষ ইসহাক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জমান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাড. আবদুল মোবিন, পিপলস লীগের সভাপতি গরীবে নেওয়াজ, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা, কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আমিনুর রহমান, ডিএলের মহাসচিব সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, মুসলীম লীগের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জুলফিকুর বুলবুল চৌধুরী প্রমুখ। জনসভা পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক। বিস্তারিত…» প্রধানমন্ত্রী হতে চান না, ন্যায়বিচার চান খালেদা জিয়া