মেয়র আরিফের ফাঁদে কি পা দিবেন ছাত্রদলের বিদ্রোহীরা

arifনিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট ছাত্রদলের নতুন কমিটি প্রত্যাখানকারী বিদ্রোহী ছাত্র নেতাদের সাথে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ছাত্রদলের নতুন কমিটির বিরোধ সমাধানের লক্ষ্যে আজ রাতে এক বৈঠক তার বাস ভবনে বসার কথা রয়েছে বলে সংগঠনের সুত্রে জানা যায়। ছাত্রদলের একজন কর্মী জানান, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসায় বিদ্রোহীদের সাথে নতুন কমিটির বিরোধ নিয়ে এক বৈঠক বসার কথা রয়েছে। এবং এই বৈঠক থেকে আরিফুল হক চৌধুরী কমিটির বিরোধ সমাধান করার জন্য নতুন কোন প্রস্তাব দিতে পারেন বলে জানান। তবে কি ধরনের প্রস্তাব আসতে পারে তা তিনি বলেন নি। কিন্তু একটি সুত্রে জানা যায় বিদ্রোহী কয়েকজন ছাত্রনেতাদের কে কেন্দ্রে এবং ছাত্রদলে নতুন কমিটিতে ৮ জন করে ১৬ জন বিদ্রোহী নেতাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব আসতে পারে। কিন্তু এ ধরণের প্রস্তাবে বিদ্রোহী নেতারা মেনে নিবেন কি? তা নিয়ে এক বিদ্রোহী নেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন এ ধরণের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার প্রশ্ন উঠে না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি আমাদের অনেক নেতা কারাবরণ করছেন এখনও। তাছাড়া আমরা শিবির থেকে আগত কাউকে আমাদের সংগঠনে স্থান দেব না। আমরা যে কোন মূল্য শিবির পূর্ণবাসন করতে দেবন না। এদিকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে নিজের ফাঁয়দা আসিল করতে যাচ্ছেন বলে একটি সুত্রে জানা যায়। কেননা তিনি সিলেটের বিএনপির রাজনীতিতে সাংগঠনিক ভাবে অনেক দুর্বল রয়েছেন। তিনি কোন ভাবে এই দুর্বলতা কাঠিয়ে উঠতে পারছেন না। তাছাড়া তার বিরোদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ রয়েছে বিগত ৫ ই জানুয়ারী সারা দেশে বিএনপি পন্থী মেয়র ২০ দলীয় জোটের ডাকে রাজ পথে নেমে আসলে শুধু তিনি নেমে আসেননি। উল্টো তিনি আওয়ামীলীগের মন্ত্রীর গাড়ি চড়ে নগরীতে বেরিয়েছেন। আর তার এসব কর্মকান্ডে স্থানীয় বিএনপি ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইচ চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ভালো চোখে দেখেননি। এমনকি বিএনপির সিনিয়র ভাইচ চেয়ারম্যান তারেক রহমানও সয়ং ক্ষোব্ধ। তাই তিনি ছাত্রদলের এই বিরোধ সমাধান করে তারেক রহমানের সাথে ভালো একটি সম্পর্ক করার চেষ্টা করছেন। আর পিছনে কাজ করছেন বিএনপির সাবেক এমপি খন্দকার আব্দুল মালেকের পুত্র বিএনপি নেতা শিল্পপতি খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির । কেননা তিনি সিলেট ১ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী। তাই তিনি ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে আসেন এবং বিএনপি ও বাকী অঙ্গসংগঠনের কমিটি তার মত সাজানোর লক্ষ্য কাজ করছেন। এদিকে খন্দকার মুক্তাদিরের চাচাতো ভাই পাশা খন্দকারের সাথে তারেক রহমানের ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলে একটি সুত্রে জানা যায় । তাই মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ছাত্রদলের এই নতুন কমিটির নেতাদেরকে যে কোন একটি শান্তনা দিয়ে খন্দকার মুক্তাদির ও তার চাচাতো ভাই পাশা খন্দকারের মাধ্যমে তারেক রহমানের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ নিতে চান। তবে মেয়র আরিফের এমন ফাঁদে পা দিবেন না বলে জানান বিদ্রোহী এক নেতা।