মার্কিন নজরে এবার দাউদ ইব্রাহীম!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকার শীর্ষে থাকা দাউদ ইব্রাহিমকে দেশে এনে তাঁর বিচারের কথা শোনা গিয়েছে। বর্তমান সরকারও এর বাইরে নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর জানিয়েছিলেন, ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপের পিছনের অন্যতম প্রধান মদতদাতাকে ধরতে কোনও কুসুর রাখবেন না তিনি। সম্ভবত সেই পদক্ষেপের দিকে এক ধাপ এগোলেন তিনি।
সম্প্রতি মার্কিন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে এ বিষয়ে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেন তিনি। তারই ফল স্বরূপ দু’ দেশের একটি যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দাউদ ইব্রাহিমকে ভারতের নিয়ে আসা এবং সন্ত্রাসবাদের ‘আঁতুড়ঘর’ ধ্বংসের জন্য পারস্পরিক সাহায্য করা হবে। আরও বলা হয়েছে, এই তালিকায় আল কায়েদা, লস্কর-ই-তৈবা, জয়েস-ই-মহম্মদ এবং হক্কানি নেটওয়ার্কও রয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। কারণ অতীতে ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা যৌথ বিবৃতিতে থাকলেও দাউদের নাম সে বাবে কখনও বিবেচনা করা হয়নি। অবশ্য দাউদের বিষয়ে মার্কিন মুলুকের হঠাৎ এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দাউদ য়ে রুট ব্যবহার করে চোরাকারবার চালায়, সেই একই রুট এখন সমস্ত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিও ব্যবহার করছে। এমনকি এ কাজে দাউদের সিন্ডিকেটকে রীতিমতো ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ২০০৩ সালেও রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে দাউদের নাম উঠেছে। সেখানেও আল কায়েদা, ওসামা-বিন-লাদেন এবং তালিবানের সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগের কথা জানানো হয়েছিল।
শুধু দাউদ কেন, এ তালিকায় মৌলানা মাসুদ আজহার, হাফিজ মহম্মদ সইদ, টাইগার মেমন, ছোটা শাকিল, আব্দুল সুভান কুরেশি, ইকবাল ও রিয়াজ ভটকলের মত ‘হেভি ওয়েট’ নাম রয়েছে যাঁরা ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এদের প্রত্যেকে ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার এক, এরা প্রত্যেকেই এখন পাকিস্তানের বাসিন্দা।