কানাইঘাটে ভুয়া পশু ডাক্তারকে আটক করে পুলিশে দিলেন ইউএনও
কানাইঘাট প্রতিনিধি: অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া গতকাল সোমবার তার কার্যালয়ে ডাক্তার নামধারী এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। জানা যায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সম্মুখে দীর্ঘদিন ঘরে ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন রিয়া ফার্মেসী নামে একটি ঔষুধের দোকান খুলে কোন ডাক্তারী সার্টিফিকেট ছাড়াই মোশাররফ উরফে জাহাঙ্গীর (৪০) পশু চিকিৎসা করে আসছিল। সম্প্রতি উপজেলা সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের দরিদ্র কৃষক আবুল হোসেন ও একই গ্রামের আব্দুল হাসিমের দুটি গর্ভবতী গাভী চিকিৎসা করার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে আসেন। অফিসে কাউকে না পেয়ে যখন তারা গাভী নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এ সময় পশু ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মোশাররফ উরফে জাহাঙ্গীর এ দু’কৃষকের বাড়ীতে গিয়ে তার নিজস্ব ফার্মেসী থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ও ইনজেকশন পুশ করলে গাভী দুটি অসুস্থ অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় গাভী দুটির মালিক আবুল হোসেন ও আব্দুল হাসিম বাদী হয়ে ভুয়া ডাক্তার মোশাররফের বিরুদ্ধে গত ২০ অক্টোবর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তদন্তের জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গত রবিবার বৈঠকের দিন ধার্য্য করা হলে সেখানে উপস্থিত হন গাভীর মালিক আবুল হোসেন ও আব্দুল হাসিম। বৈঠক থেকে বের হওয়ার পর ভুয়া ডাক্তার মোশাররফ ও তার সহযোগীরা অভিযোগকারীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বাদী-বিবাদীর উপস্থিতিতে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভুয়া ডাক্তার মোশাররফকে কানাইঘাট থানায় সোপর্দ করেন নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখ্য যে, মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে পূর্বেও সমবায় সমিতি খুলে রিক্সাচালক থেকে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা আত্মসাত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ বিক্রির দায়ে তাকে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল।