ডাকাত আতংকে রাজনগরবাসীর নির্ঘুম রাত্রি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে,আপনারা সবাই যার যার জাম-মাল নিরাপত্তার জন্য সতর্ক থাকুন।এমন বক্তব্য শনিবার রাত ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার সবকটি গ্রামে মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়।সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক স্ট্যাটাসে ও বিভিন্ন জন মসজিদের মাইকের খবরটি প্রচার করে।গ্রামে-গঞ্জে শুরু হয় সতর্ক পাহারা। শত-শত লোক মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের কাছে খবরের সত্যতা জানতে চায়।ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে প্রবাসীরা যার যার বাড়ীতে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের সতর্ক করে।এমন আতংকের খবর শুনে ঘরের শিশুরা শুরু করে কান্নাকাটি। ডাকাতদের ভয়ে অনেকে ঘরে রক্ষিত টাকা-পয়সা সোনা-গহনা মাঠির নীচে গর্ত করে লুকিয়ে রাখে। সবমিলিয়ে শনিবার রাতটি ছিল রাজনগর বাসীর জন্য একটি আতংকের রাত। রাত শেষে রবিবার সকালে উপজেলার কোথাও কোন ডাকাতির খবর পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,শনিবার রাত ১০ টায় রাজনগর থানা থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউপি মেম্বারদের ফোন করে জানিয়ে দেয়া হয়,রাজনগর এলাকায় ডাকাতদলের গাড়ি ঢুকেছে,যেকোন সময় যেকোন স্থানে ডাকাতদল হানা দিতে পারে তাই এলাকাবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। খবরের সত্যতা যাচাই করতে এ প্রতিবেদক রাত ১১ টায় ১ নং ফতেপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মঈন উদ্দীন মেম্বারের কাছে ফোন দিলে তিনি পুলিশের পক্ষ থেকে ফোন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,প্রত্যেক এলাকার মসজিদে-মসজিদে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ফলে তিনিও তার এলাকার সবকটি গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন।মেম্বারের এমন বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ে এ প্রতিবেদক রাজনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীনকে ফোন দিলে তিনি জানান,পুলিশের কাছে একটি তথ্য এসেছে রাজনগর এলাকায় ডাকাতদের একটি গাড়ী ঢুকেছে ,তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে মেম্বারদের কাছে ফোন দিয়ে বলা হয়েছে।এদিকে এমন খবর ফেসবুকে প্রচারের পর বিভিন্ন পেশাজীবির মানুসজন পুলিশের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভের বহিংপ্রকাশ ঘটিয়েছে।মুন্সিবাজার ইউনিয়নের রাসেল মিয়া জানান,এমন সংবাদ মাইকে প্রচারের পর তাদের এলাকার হাজার হাজার মানুস আতংকের মধ্যে রাত্রিযাপন করেছে।তার ৪ বছরের শিশু সারারাত কেঁদে কেঁদে তাদেরকে ঘুমাতে দেয়নি।মুনসুর নগর ইউনিয়নের আহমদ জানান,তাদের ইউনিয়নের সবকটি গ্রামে ডাকাত আতংকে মানুসজন শান্তিতে ঘুমাতে পারছেনা।গত বছর স্থানীয় আওয়ামীলিগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছাদিক মিয়ার বাড়ীতে ডাকাত দল হানা দিয়ে কয়েকলক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।ফতেপুর ইউনিয়নের মোকামবাজার গ্রামের সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জানান,গত বছর তাদের ইউনিয়নের নৌশা মিয়ার বাড়ী,বেড়কুড়ি গ্রামে একজন প্রবাসির বাড়ী সহ বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় রীতিমত ডাকাত আতংক বিরাজ করছিল।শনিবার রাত মসজিদে ডাকাত আসার খবরটি প্রচারের পর ঐ এলাকার সবকটি গ্রামের মানুস সারারাত ছিল সতর্ক পাহারায়।