ছাতকে স্কুলের বরাদ্ধ সভাপতির পেটে
নির্দেশের ৭মাস পরও মামলা হয়নি
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: ছাতকে একটি হাই স্কুলের সরকারি বরাদ্ধ হজম করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রহিম উদ্দিন। এতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দন্ডবিধি ১৮৬০ ধারায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ আত্মসাতকৃত টাকা উদ্ধারে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশের দীর্ঘ ৭মাস পরও রহস্যজনক কারণে তা-আলোর মুখ দেখেনি। ফলে বিভিন্ন প্রকল্পের খাদ্য শস্য আত্মসাতের সাথে জড়িতরা এক্ষেত্রে দিন-দিন আরো উৎসাহীত হচ্ছে। ফলে জনমনে অসন্তেুাষ ছড়িয়ে পড়েছে। জানাযায়, উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের জাহিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ইং অর্থ বছরের বরাদ্ধকৃত খাদ্য শস্য (প্রকল্প ৩য় পর্যায় নং-৩৩ (খ) এর ডিও নং- ১১৮, তাং-১৫/০৬/১০ইং) ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি একই গ্রামের মৃত চমক আলীর পুত্র রহিম উদ্দিন আত্মসাত করেছেন। গত ৯ডিসেম্বর’১৩ইং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রকল্প আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করেন। এতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন প্রকল্প কমিটির সভাপতি রহিম উদ্দিন, সেক্রেটারী আবাব মিয়া, সদস্য আব্দুর রজাক, আহবাব উদ্দিন, আবুল খয়ের, অভিযোগকারী আব্দুল মালিক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও)সহ বিভিন্ন মাধ্যমে তদন্ত শেষে গত ১০ফেব্র“য়ারি জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে বলা হয়, অভিযোগকারীর অভিযোগ এবং দাখিলকৃত কাগজপত্র, স্বাক্ষীদের জবানবন্দি ও জেরা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কর্তৃক উপস্থাপিত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় ২০০৯-১০ইং অর্থ বছরে জাহিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বরাদ্ধকৃত ৪মেঃটন খাদ্য শস্য (গম) সভাপতি রহিম উদ্দিন খাদ্য গোদাম হতে উত্তোলনক্রমে আত্মসাত করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণীত হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১৯মার্চ প্রকল্পের বরাদ্ধকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণীত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ১৮৬০ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহনসহ আত্মসাতকৃত টাকা উদ্ধারের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে দীর্ঘ ৭মাস অতিবাহিত হলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্ষেত্রে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। ফলে জনমনে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। আত্মসাতকৃত টাকা উদ্ধার ও জড়িত অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের আইনগত কঠোর ব্যবস্থা না থাকায় দেশে সরকারী বরাদ্ধ মাত্রা আশংকাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় জাহিদপুরের রহিম উদ্দিন একটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের বরাদ্ধ আত্মসাত করে বীরদর্পে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এভাবে তিনি স্কুলের নামে আরো বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্ধ আত্মসাত করতে পারেন বলে এমন আশংকা এলাকাবাসীর। এছাড়া জেলা প্রশাসক বরাবরে আত্মসাতের অভিযোগ করায় রহিম উদ্দিন ও তার সহোদর নুর উদ্দিন ও সহযোগি মতিউর রহমান মিনু ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিককে মারধর ও প্রাননাশের হুমকি প্রদান করলে ছাতক থানায় একটি জিডি (নং-১০৪৭, তাং-২৯/০১/১৪ইং) রুজু করা হয়। জিডি তদন্ত শেষে এদের বিরুদ্ধে থানা থেকে গত ২২ফেব্র“য়ারি আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১০৭ধারায় নন এফআইআর প্রসিকিউশন (নং-২৪) দাখিল করা হয়েছে।