ছাত্রদলের দ্বন্দ্ব নিরসনের দায়িত্ব নিয়েছেন আব্বাস

mirza abbasসুরমা টাইমস ডেস্কঃ অবশেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের হস্তক্ষেপে ছাত্রদলের বিদ্রোহ দমনের পথে। ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের বিদ্রোহ দমনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মির্জা আব্বাস সোমবার দুপুরে তার শাহজাহানপুরের বাসায় বিদ্রোহী নেতা ছাত্রদলের নতুন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারকে ডেকে আনেন। ইসহাক দুপুর দুইটায় বাসায় আসার পর আব্বাস প্রায় ৩০ মিনিট তাকে নিয়ে একান্তে কথা বলেন।
এ সময় মির্জা আব্বাস ইসহাক সরকারকে বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত মানতে হবে। কমিটি নিয়ে কোনো ক্ষোভ থাকলেও তা নিয়ে শান্ত থাকতে হবে। অতীতে আমাদের মাঝে বিভিন্ন সময় কমিটি নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিলেও আমরা ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। এখন তোমাদেরও মেনে নিতে হবে। আর তোমাদের ক্ষোভের বিষয় নিয়ে আমি কথা বলব।’
মির্জা আব্বাসের এক ঘনিষ্ঠজন জানান, ইসহাক সরকার মির্জা আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে চলে যাওয়ার সময় তাকে শান্তই মনে হয়। যতদূর জানতে পেরেছি, ইসহাক বিদ্রোহের বিষয়ে আর ভূমিকা রাখবে না বলে মির্জা আব্বাসকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জানা যায়, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের সঙ্গে একান্তে কথা বলার পর পরই মির্জা আব্বাস নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে নিয়ে বৈঠক করেন। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের কক্ষে বেলা ৩টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা তাদের মধ্যে এ বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা কিছু না বলে চলে গেলেও মির্জা আব্বাস উপস্থিত সংবাদকর্মীদের হাসতে হাসতে বলেন, ‘ছাত্রদল একটি বড় সংগঠন। এতে কিছু সমস্যাতো হতেই পারে। সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা মিটেও যাবে।’
ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে পদবঞ্চিতরা। তারা বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারকে সামনে রেখে বিদ্রোহের চূড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এ ছাড়া কমিটির অবমূল্যায়িত নেতারা নেপথ্যে থেকে রসদ যোগাচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে ২০১ সদস্যবিশিষ্ট ছাত্রদল (আংশিক) কমিটির অনুমোদন করেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।