খাদিমপাড়ায় পাঁচ বছরের শিশুকে হত্যা : সৎ মা গ্রেফতার
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নগরীর খাদিমপাড়ায় ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়া খিদিরপুর গ্রামে ৫ বছরের এক শিশু তানজিনা আক্তারকে হত্যা করা হয়েছে। সে সাব্বির আহমদ নামক এক ব্যক্তির প্রথম স্ত্রীর সন্তান। সাব্বির ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আফজা বেগম শনিবার দুপুরে তানজিনাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তানজিনার সৎ মা আফজাকে গ্রেফতার ও তানজিনার রক্তমাখা জামা জব্দ করেছে পুলিশ। তবে তার বাবা সাব্বির পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- সাব্বির ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আফজা বেগম দত্তপাড়া খিদিরপুর গ্রামের সবুর আলীর বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বাস করছে। তাদের সাথে থাকতো সাব্বিরের প্রথম স্ত্রীর সন্তান তানজিনা। ৫ বছরের শিশুকে তানজিনাকে সহ্য করতে পারতো না সাব্বিরের দ্বিতীয় স্ত্রী আফজা বেগম। প্রায়ই তানজিনাকে নির্যাতন করতো সে। এতে বাধা দিত না সাব্বির।
শনিবার দুপুরে সাব্বির ও আফজা মিলে তানজিনাকে নির্যাতন করে হত্যা করে। এসময় তাদের পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া তানজিনার চিৎকার শুনে ‘কি হয়েছে’ জানতে চাইলে ‘তানজিনা বাথরুমে পড়ে ব্যথা পেয়েছে’ বলে জবাব দেয় সাব্বির। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় মুরব্বি চেরাগ আলী সাব্বিরের বাসায় গিয়ে তানজিনাকে দেখতে চান। কিন্তু সাব্বির ও আফজা বেগম তানজিনাকে দেখাতে রাজি হয়নি। চেরাগ আলী জোরপূর্বকভাবে তানজিনার নিথর দেহ দেখতে পান।
তিনি জানান- তানজিনার কপালে ও গলায় আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। একইসাথে শরীরে নির্যাতনের চিহ্নও রয়েছে।
এদিকে প্রতিবেশীদের এই কানাঘুষার ফাঁক দিয়ে তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তানজিনার লাশ সিলেটের মানিক পীরের টিলায় নিয়ে দাফন করে ফেলে সাব্বির ও আফজা বেগম। পরে খবর পেয়ে শাহপরান থানাধীন সুরমা গেইট ফাঁড়ির পুলিশ সাব্বিরের বাসায় তল্লাশি চালায়। এসময় বাসায় বাথরুম থেকে তানজিনার রক্তমাখা একটি লাল রংয়ের জামা জব্দ করে পুলিশ। একইসাথে আফজা বেগমকেও গ্রেফতার করা হয়। তবে তানজিনার বাবা সাব্বিরকে বাসায় পায়নি পুলিশ।
সুরমা গেইট ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই চান মিয়া জানান- তানজিনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি। তার রক্তমাখা জামা জব্দ ও সৎ মা আফজাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খাদিমপাড়া ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার আজাদ আহমদ বলেন- এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।