নাস্তিকতা ও ধর্মহীনতা প্রতিরোধে আলেম- উলামাকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে
মুফতী সৈযদ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম
নায়েবে আমিরুল মুজাহিদীন শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, পীরে কামেল চরমোনাই বলেছেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে ঘোষনা করেন -হে বিশ্বাসীগণ তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাহার নৈকট্য ও সান্নিধ্য লাভের জন্য মধ্যস্তত্ার অনুসন্ধাণ কর। তাদের পথে সাধ্য সাধনা কর, এই উদ্দেশ্যে যে, তেমরা মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হবে। মাওলানা শাহ আব্দুল আজিজ দেহলবী (র.) স্থীয় তফসীরে বলেন তরীকতের পীরের অনুসরন করা সাধারন উম্মতের উপর আবাশ্যক বা ওয়াজিব। তিনি আরও বলেন পবিত্র কোরআনে অন্যত্র ঘোষিত হয়েছে একমাত্র আল্লাহর জিকির দ্বরা আত্মার প্রশান্তি লাভ এবং আত্মশুদ্বি অর্জন হয় ।
রাসুল (স.) বলছেন সর্বদা মানুষের আত্মার সাথে অভিশপ্ত শয়তান মিলিয়ে থাকে যখন বান্দা আল্লাহর জিকির শুরু করে তখন শয়তান হটিয়ে যায়। আবার যখন সে জিকির হতে অব্যাহতি নেয় সেই মুহুর্তে শয়তান পুনুরায় ওয়স ওয়াসা দেয়। এবং যে ব্যেক্তি কোরআনের অর্থ নিজের মতো করল সে জাহান্নামে তার জায়গা করে নিল। তিনি আরও বলেন নাস্তিকতা ও ধর্মহীনতা প্রতিরোধে প্রিন্টিং ও ইলেট্রনিক মিডিয়া ব্যাবহার করতে হবে। এমনি ভাবে ঈমামও খতিবগণ এবং আলেম-উলামা,দাঈ-মুবাল্লিগ,পীর-মাশায়েখ সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের প থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এবং তাদের ভাষণ ও আলোচনায় দ্বীনী দিক নির্দেশনার সাথে সাথে নাস্তিকতা ও মানসিক ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে কড়া সমালচনা করতে হবে যাতে তরুন তরুনরা ও যুবক যুবতীরা পাশ্চাতেত্যর ধোকা ও প্রতারনা থেকে নিরাপদ থাকতে পারে। দেশে সুখ শান্তি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যান কামনা করে মাহফিল শেষে তিনি দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।
গত বহস্পতিবার সিলেট কদমতলী মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে সিলেট মুজাহিদ কমিটির উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায় জিকিরে প্রধান অথিতির বয়ানে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সিলেট সুলতানপুর মাদ্রসার পিন্সিপাল হযরত মাওলানা আনোওারুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বয়ান পেশ করেন হযরত মাওলানা আব্দুল মালিক ফযেজী ,বি-বাড়িয়া।আলহাজ হযরত মাওলানা নুরুল ইসলাম।হযরত মাওলানা রেজওয়ানুল হকরাজু চৌঃ।হযরত মাওলানা বদরুল ইসলাম।হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ আর মামুন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি