শহীদ মিনার গোষ্ঠী বিশেষের সম্পদ নয় : শত নাগরিক

Pias Karimসুরমা টাইমস ডেস্কঃ পিয়াস করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়ার বিরোধিতাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও সংকীর্ণ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ’ বলে উল্লেখ করেছেন কবি আল মাহমুদ ও ফরহাদ মাজহারসহ বিশিষ্টজনেরা।
একইসঙ্গে বলেছেন, শহীদ মিনার কোনো গোষ্ঠী বিশেষের সম্পদ নয়। পিয়াস করিমের মতো একজন কৃতি পুরুষ আমাদের সমাজে বিরল।
বৃহস্পতিবার রাতে শত নাগরিক কমিটির প্যাডে এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা পিয়াস করিমের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন।
গত সোমবার মারা যান টিভি টকশোর আলোচক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়াস করিম। এরপর তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনারে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিরোধিতার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে অনুমতি দেয়ায় শুরু হয় বিতর্ক।
বিভিন্ন দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পিয়াস করিমের মরদেহ যেভাবেই হোক শহীদ মিনারে নেয়া হবে। অন্যদিকে তা প্রতিহত করারও ঘোষণা দেয় বিরোধীরা। সবশেষে পিয়াস করিমের পরিবারও মরদেহ শহীদ মিনারে না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
শত নাগরিক জাতীয় কমিটির ওই বিবৃতিতে সই করেন এর সদস্য সচিব, কবি আবদুল হাই শিকদার।
বিবিৃতিতে বলা হয়, চিন্তা ও চেতনার জগতে ড. পিয়াস করিম ছিলেন একজন প্রগতিশীল ও খোলা মনের মানুষ। এরকম একজন কৃতি পুরুষ আমাদের সমাজে বিরল। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় একটি মহল শহীদ মিনারে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের বিরোধিতা করে মত প্রকাশ করেছে। এটি অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক এবং সংকীর্ণ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। যারা এই দূর্ভাগ্যজনক মত প্রকাশ করেছেন তারা বুঝতে পারছেন না এর ফলে একটি খারাপ নজির স্থাপিত হচ্ছে। আমরা আশা করব, তারা তাদের অবস্থানের পরিবর্তন করবেন।
আরও বলা হয়, দর্শনগত অবস্থানের জন্য কারো সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করা যায়। কিন্তু কোনো ক্রমেই তার প্রতি মৃত্যুর পর অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা যায় না। শহীদ মিনার কোনো গোষ্ঠী বিশেষের সম্পদ নয়। এটি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।
বিবৃতিদাতারা হলেন- প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমদ, প্রফেসর ডা. এম এ মাজেদ, বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, কবি আল মাহমুদ, ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, কবি ফরহাদ মজহার, ড. মাহবুব উল্লাহ, মোহাম্মদ আসাফউদদৌলা, সাদেক খান, ড. এসএমএ ফায়েজ, ড. ইউসুফ হায়দার, ড. সদরুল আমিন, শফিক রেহমান, মাহফুজ উল্লাহ, ড. তাজমেরী এস ইসলাম, ড. মুশতাহিদুর রহমান, ড. জিন্নাতুননেসা তাহমিদা খাতুন, ড. আখতার হোসেন, ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, ড. দিলারা চৌধুরী, ড. মুশতাহিদুর রহমান, ড. সলিমুল্লাহ, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, কবি আল মুজাহিদী, কবি আবু সালেহ, কবি কেজি মোস্তফা, কবি এরশাদ মজুমদার, কবি হাসান হাফিজ, কবি আবদুল হাই শিকদার, রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, আমানুল্লাহ কবির, কামাল উদ্দিন সবুজ, এম এ আজিজ, ডা. এজেডএম জাহিদ, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী বাবলা, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, কাদের গণি চৌধুরী, ড. তাহমিনা ইসলাম টফি, ড. দিল রওশন জিনাত আরা নাজনীন, চাষী নজরুল ইসলাম, ড. শাহেদা রফিক, ড, সুকোমল বড়ূয়া, ড. মামুন আহমেদ এলাহী নেওয়াজ খান, খন্দকার মনিরুল ইসলাম, হাসান জাকির তুহিন, ড. হারুনুর রশিদ, ড. আজহার আলী, ড. ইফতেখার মাসুদ, ড. হাসান মোহাম্মদ, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী, ড. মুনীর আহমদ চেধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান, অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া ও ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম।