যুবলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ : গোলাগুলি, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পন্ড

Juboleage fightসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নগরীর কানিশাইল রোড মনিকা সিনেমা হলের সম্মুখ শামীমাবাদে যুবলীগের সভা চলাকালে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়েরও ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ফলে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পন্ড হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে যুবলীগ কর্মী পলাশ, আরমান, জাহেদ, জসিম, রানার নাম জানা গেছে। এরা সবাই মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তির সমর্থক। বাকি আহতদের নাম জানা যায়নি। সংঘর্ষ চলাকালে ২টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর, ৪টি ভ্যান গাড়িতে আগুন ও অন্তত ২০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ঘটনার সময় যুবলীগের সভা চলছিল। হঠাৎ দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় দুটি মোটর সাইকেল (সিলেট ল- ১১-৩৪১৯) ও (সিলেট ল-১১-৪৮৭০) এবং মঞ্চের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করার পর দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়- শামীমাবাদ স্থানীয় যুবলীগের উদ্যোগে মনিকা সিনেমা হলের সামনে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এশার নামাজের পর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের কথা ছিল।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের আর্শিবাদপুষ্ট যুবলীগ নেতা শাহীনুর এর নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে হামলা চালায়। তারা স্টেজ থেকে চেয়ার, সোফা ও সাউন্ডবক্স রাস্তায় নামিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। নাসির খান সমর্থিত যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়ার মুখে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যান আয়োজকরা।
এরপর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের নেতৃত্বদানকারী স্থানীয় যুবলীগ নেতা আরমান আহমদ ও সাদিকুজ্জামান সাদিকের নেতৃত্বে তাদের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে আসলে সংঘর্ষ বাধে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।
খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেও সংঘর্ষে লিপ্ত নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করা সম্ভব হয়নি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজক যুবলীগ নেতা আরমান আহমদ অভিযোগ করেন- নাসির খান গ্রুপের শাহিনুর ও সেজুলের নেতৃত্বে হামলায় ছাত্রদল ক্যাডাররাও অংশ নিয়েছে। তবে নাসির খান গ্রুপের নেতাকর্মীদের অভিযোগ যারা আলম খান মুক্তিকে সংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন করেছিল তারাও ছাত্রদলের সাথে জড়িত। পুলিশের ধরপাকড় থেকে রক্ষা পেতে তারা কয়েক দিন আগে ছাত্রলীগের যোগদান করেছে।