মাদকের চালানসহ পুলিশ কর্মকর্তা আটক : অত:পর মুক্ত

police-arrest businessহবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জেলার চুনারুঘাটের বাল্লা সীমান্তে আটক বিপুল পরিমান মাদক শেষ পর্যন্ত পুলিশ ও বিজিবি’র মাঝে ভাগাভাগির অভিযোগ উঠেছে। মাদকসহ আটকের পর রাত প্রায় ৩টার দিকে বিজিবি’র হাতে আটক পুলিশ সদস্যদেরকে মুক্ত করে নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে পুলিশ-বিজিবি ও গোয়েন্দাদের মাঝে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাল্লা সীমান্তে।
সীমান্ত সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত প্রায় ১০ টার সময় বাল্লা বিজিবি ক্যাম্পের কাছে একটি সিএনজি থেকে ২ বস্তা ভর্তি ভারতীয় চোরাই ফেনসিডিল , হুইস্কি ও বিয়ার আটক করে বিজিবি। এ সময় ওই সিএনজিতে সাদা পোষাকে চুনারুঘাট থানার দারোগা ও দুই পুলিশ সদস্যসহ হবিগঞ্জের এক অপরিচিত লোক বসা ছিল।
বিজিবি মাদকসহ দারোগা আরিফকে ক্যাম্পে নিয়ে আসে এবং বিষয়টি পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল ও চুনারুঘাট থানার ওসি অমুল্য কুমার চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে সমঝোতায় বসেন। এরই মাঝে বিষয়টি গড়ায় পুলিশ-বিজিবি’র উপর মহলসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থায়।
বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও প্রচারিত হয় চাঞ্চল্যকর মাদক চালানের এ বিষয়টি। শেষ পর্যন্ত রাত ৩ টায় আটক মাদক থেকে ৪৫বোতল হুইস্কি ও ১২ বোতল বিয়ারসহ মাদক বহনকারী মাসুককে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিজিবি। অপরদিকে ৩৩ বোতল ফেনসিডিল দেয়া হয় বিজিবিকে।
এ ব্যাপারে বিজিবি-পুলিশ বলছে, বিষয়টি ভুল বোঝবুঝির কারণে হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে চুনারুঘাটে অনুষ্টিত আইন শৃংখলা সভায় দারোগা আরিফকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার দাবি জানিয়েছিলেন ১০ জন চেয়ারম্যান। এ ফাঁকে দারোগা আরিফের মোটরসাইকেলটিও তার বাসা থেকে চুরি হয়।