আমাদের লোকই চাঁদাবাজ : নিউইয়র্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত

PIC ABUL MUHATনিউইয়র্ক থেকে এনা: বাংলাদেশে কোন কাজ করতে গেলেই চাঁদাবাজ এসে হাজির হয়। চাঁদাবাজকে অর্থ না দিলে কাজ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সত্যি কথা বলতে কি আমাদের লোকজনই চাঁদাবাজ। গত ২ সেপ্টম্বর বিকেলে এস্টোরিয়ায় প্রবাসের অন্যতম বৃহৎ আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নতুন অফিসকালে মতবিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ফিতা কেটে জালালালাবাদ এসোসিয়েশনের অফিস উদ্বোধনের পর নতুন অফিসেই জালালাবাদ এসোসিয়েশনের বর্তমান এবং সাবেক কর্মকর্তাদের সাথে তার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জেড চৌধুরী জুয়েলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং রাষ্ট্রদূত ড. এ কে মোমেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আব্দুল বাসিত, সাবেক সভাপতি এম এ কাইয়ুম, সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান মিতা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল কালাম, কম্যুনিটি লীড়ার সাইফুল ইসলাম রহিম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদিকা রানা ফেরদৌস চৌধুরী, আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ সোসাইটির সহ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, শাহীন আজমল, শেখ আতিকুল ইসলাম, সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ আতাউল গনি আসাদ, মোশাররফ আলম, নাজমুল হাসান কোবাদ।
অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক জেড চৌধুরী জুয়েলের বক্তব্য এবং ডায়াগনোসিস সেন্টারের জন্য জায়গা ও ৩০টি মেশিন পাঠানোর ক্ষেত্রে তার সহযোগিতা চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনাদের আইডিয়া অত্যন্ত চমৎকার এবং ভাল। আপনারা যে আমাকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়ার কথা বলেছেন সেই ব্যাপারে আমি বলতে পারি, আপনারা রং লোক চয়েস করেছেন। কারণ অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি আর কোন দায়িত্ব নিতে পারি না। আমার দায়িত্ব হচ্ছে অর্থমন্ত্রণালয় চালানো এবং দলের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা। তিনি বলেন, আমার কাছে যে জায়গা চেয়েছেন তাও আমি দিতে পারবো না। আমি পার্সু করতে পারবো না। এই কাজটি আপনাদেরই করতে হবে এবং আপনাদের চালাতে হবে। তিনি আরো বলেন, আপনারা জায়গা বের করুন, আমি যতটুকু পারি সাহার্য্য করবো। মেশিন নেয়ার ব্যাপারে আপনারা মোমেন সাহেবের সাহার্য্য নিতে পারেন। যেখানে কথা বললে কাজ হয় সেটি আমি করতে পারবো। তিনি বলেন, আমাদের দেশে কাজ শুরু করলেই চাঁদাবাজরা এসে হাজির হয়। তাদের চাঁদা না দিয়ে কাজ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সত্যি কথা বলতে কী আমাদের লোকজনই চাাঁদাবাজ।