এখানে যে কালো বিড়াল এতো রয়ে গেছে তাতো আমি জানি না
আমি বাংলাদেশে বসে এই মন্তব্য করিনি। ‘আমি ভাবছিলাম মুক্ত পৃথিবীতে আসছি, যেখানে সবাই মুক্ত বিহঙ্গ, কোনো কিছুতেই বাধা নাই। এখানে যে কালো বিড়াল এতো রয়ে গেছে তাতো আমি জানি না।’বিতর্কিত মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নিউ ইয়র্ক সম্পর্কে একথা জানিয়েছেন, তবে তিনি তার মন্তব্যে অনড়।
শুধু তার দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিলেই তিনি তার সম্মানে মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। এখন মেক্সিকোয় অবস্থান করা লতিফ সিদ্দিকী বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনেক নতুন কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘একজন স্বাধীন ও আধুনিক মানুষ হিসেবেই তিনি হজ সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘চাপের মুখে তার পদত্যাগ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমি কিছুই করব না। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দেবেন, আমি সেটা প্রতিপালন করব।’
মন্ত্রী আরো বলেন, তার এই মন্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন দলের নেতারা যেসব কথাবার্তা বলছেন, ‘তার অপসারণের যে দাবি উঠেছে, সেসব বিষয়ে তিনি জানেন। ‘আমি শুধু আমার বিশ্বাসের কথা বলেছি। এতে কারো কারো আঘাত লাগতে পারে। এবং তারাও আমাকে আঘাত করে মতামত প্রকাশ করছেন’- বলেন লতিফ সিদ্দিকী।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তার কথা হয়নি। লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি শুধু আমার বিশ্বাসের কথা বলেছি। এতে কারো কারো আঘাত লাগতে পারে। এবং তারাও আমাকে আঘাত করে মতামত প্রকাশ করছেন।’
যুক্তরাষ্ট্রে টাঙ্গাইল জেলা সমিতির একটি অনুষ্ঠানে তিনি কি বলেছেন, তার একটি অডিও বাজিয়ে শোনাতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তাকে শোনানোর প্রয়োজন নেই। কারণ তিনি কী বলেছেন, সেটা তিনি জানেন। তার দায়িত্ব তিনি নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘যা রেকর্ড করা আছে, সেটা ঠিকই আছে। আমি ওই কথার ১০০ ভাগ দায়িত্ব নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘অনুতাপ করার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র পরিচালনায় তাকে কিছু দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি যেটা ভালো মনে করবেন সেটা তিনি করবেন। আমি যদি তার বোঝা হয়ে যাই, তাহলে তার বোঝা রাখবেন কেন?’