শাহ তাজ উদ্দিন কোরেশী (রঃ) উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচন নিয়ে বিরুধের নিষ্পত্তি

সমুজ (মহরীর) অভিযুক্ত প্রকাশ্যে মা প্রার্থনা ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা

উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ অনেক জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হরিধরপুর গ্রামে শাহ তাজ উদ্দিন কোরেশী (রঃ) উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে দু’পরে মধ্যে বিবাদমান বিরুধ গতকাল শনিবার দুপুরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কমপেক্সে নিষ্পত্তি হয়েছে। সাজ্জাদুর রহমান সমুজ (মহরীরকে) অভিযুক্ত সাব্যস্থ করে প্রকাশ্যে সবার কাছে মা প্রার্থনা ও য়তি ভাবত নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরবর্তীতে আর কোন সময় এ ধরনের কোন ঘটনা সংগঠিত হলে নগদ ১ ল টাকা জরিমানার স্বীদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, উপজেলা শিা অফিসার কর্তৃক গত ১০ সেপ্টেম্বর শাহ তাজ উদ্দিন কোরেশী (রঃ) উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য নির্বাচনের দিনন ঠিক করা হয়। এরই প্রেেিত হরিধরপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বি মোঃ আব্দুল তাহিদ ও একই গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান সমুজ (মহরীর) প্রতিদন্ধীতার জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হন। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে নির্বাচনের পুর্বের রাতে প্রচারনাকালে আব্দুল তাহিদ এর সমর্থক কে সাজ্জাদুর রহমান সমুজ (মহরীর) লোকজন অবরোধ করে রাখে। এ খবর প্রতিপরে লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে দু’পরে লোকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দু’পরে মধ্যে তুমুল উত্তেজনা দেখা দিলে এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বিয়ান গিয়ে বিষয়টি সালিশে নিষ্পত্তি করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। পরদিন নির্বাচন অনুষ্টিত হয় এতে আব্দুল তাহিদ বিজয়ী হন। কিন্তু দু’পরে মধ্যে উত্তেজনা ও মারমুখি ভাব চলতে থাকে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বিয়ানদের সমন্ময়ে স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে চেয়ারম্যান আনোয়ারুর রহমানের সভাপতিত্বে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্টিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আবু সিদ্দিক, থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু, কৃষকলীগ সভাপতি শাহনুর আলম ছানু, ভুমিহীন নেতা আব্দুর রহিম, আহমদ ঠাকুর রানাসহ সকল ইউপি সদস্য ও এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বিয়ান। উভয় পরে বক্তব্য ও স্বাীর জবানবন্ধী শুনে বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ ৮ সদস্য বিশিষ্ট এক জুড়ি বোর্ড গঠন করে সবার সমন্ময়ে রায় ঘোষনা করেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই। উক্ত রায়ে সাজ্জাদুর রহমান সমুজ (মহরীরকে) অভিযুক্ত সাব্যস্থ করে প্রকাশ্যে সবার কাছে মা প্রার্থনা ও য়তি ভাবত নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং সাথে সাথে রায় কার্যকর করা হয়। পরবর্তীতে আর কোন সময় এ ধরনের কোন ঘটনা সংগঠিত হলে নগদ ১ ল টাকা জরিমানার স্বীদ্ধান্ত নেয়া হয়। সুষ্ট ভাবে বিচার সম্পন্ন হওয়ায় এলাকায় স্বস্থির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে।