শিশু শিক্ষার্থীরা কেউ বাকরুদ্ধ, কেউ অসুস্থ..

টাঙ্গাইলে ভুঞাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে ভুঞাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বেশ উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পুরো দেশ। ভয়ে আতঙ্কে লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে নেমে এসেছে রাস্তায়, ফাঁকা স্থানে। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে আহত হয়েছে শত শত মানুষ। তবে সবচেয়ে বেশি ভীত হয়ে পড়ে শিশুরা।
বিশেষ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়। অনেকেই ঘটনার আকস্মিকতায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। কেউ হয়ে পড়ে অসুস্থ। ভূমিকম্পে কোথাও দু’দফায় কোথাও তিন দফায় আবার কোথাও দফায় দফায় কাঁপতে থাকে বাড়িঘর দালানকোটাসহ সবকিছু। এসময় প্রায় সবার মাথাই ঘুরতে থাকে। কারো কারো বমি বমি ভাব হয়।
ভূ-কম্পনের সময় আতঙ্কিত হয়ে পাবনায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভয়ে আতঙ্কে বাগেরহাটে সদরের পশ্চিমভাগ বেলায়েত দাখিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা

গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অসুস্থ শিক্ষার্থী
গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অসুস্থ শিক্ষার্থী

বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
খাদিজার বাবা জানান, ভূমিকম্প অনুভব করে খাদিজা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার দেড় ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়।
একই ভাবে ভূমিকম্প চলাকালীন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোস্তবাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায়। এদের মধ্যে দুজনকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র ঐতিহ্যবাহী মুসলিম একাডেমির স্কুলের মূলভবনের দেয়ালে ভূমিকম্পে ফাটল সৃষ্টি হয়। এতে পুরো স্কুলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্কুল ছুটি দেয়া হয়।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণেশ্বর ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের ছাদ ধসে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এতে আহত হয়েছে প্রধান শিক্ষকসহ ১০ শিক্ষার্থী।
ভূমিকম্পে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের অসুস্থ পড়ার ঘটনায় চিন্তিত অভিভাবকরা। অনেক শিশুই পাঠ্যবই পড়ে ভূমিকম্প সম্পর্কে জানলেও স্বচক্ষে দেখেনি। এরা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়। তবে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঠিক ধারনা না দেয়ার কারণেই গণহারে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে অভিভাবকরা।