প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে

Hasinaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার প্রসারে তার সরকারের নানাবিধ কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে বলেছেন, শিক্ষার প্রসারে সরকার সবকিছু করবে। তার সরকার প্রত্যেক জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে। নারী শিক্ষায় প্রসারে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের ছেলে মেয়েরা যাতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে কেন্দ্রে বক্তৃতা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গার্লস এ্যান্ড উইমেন লিটারেসি এ্যান্ড এডুকেশন, ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণ সাক্ষরতায় চ্যাম্পিয়ন ১৪ টি দেশের প্রতিনিধিদের হাতে ইউনেস্কো লিটারেসি এ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের নভেম্বরের ১৭ তারিখে ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি নির্ধারণ করা হয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়।
প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপনের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা এবং বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার সাক্ষরতা বিস্তারে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে আসছে।
এ উপলক্ষ্যে গতকাল রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্য জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র সমূহের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ইউনেস্কো সদর দপ্তর থেকে এ বছর বাংলাদেশকে এ সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব দেয়। এতে ৩৬ টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্যের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনেস্কো লিটারেসি এ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।