নবীগঞ্জে শিক্ষা অফিসারের গাফিলাতি : প্রশ্ন ছাড়াই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার চরম দায়িত্ব অবহেলার কারনে উপজেলা অনেক বিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্র ছাড়াই কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। আর পরীক্ষাার হলে এসব বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় বিশেষ করে বাংলা,ধর্ম,সমাজ প্রশ্নপত্র না পাওয়ায় উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক,অবিভাবকদের মাঝে এ নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে । প্রশ্নপত্র ছাড়াই কিভাবে পরীক্ষা অনুষ্টিত হল এনিয়ে অবিভাবকদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
বিদ্যালয় সুত্রে জানাযায়,চলিত মাসের ১৩ আগষ্ট উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে বিভিন্ন শ্রেনীর ২য় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা শুরু থেকেই উপজেলা বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্নপত্র পৌছে নাই। তাই প্রশ্নপত্র ছাড়াই অনেক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়েছে। প্রশ্নপত্র ছাড়া অনেক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে গিয়ে মারাত্মক সমস্যার সন্মূখীন হতে হয়েছে। যার ফলে এ নিয়ে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা,ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকের মধ্যে মারাাত্মক ক্ষোভের সুষ্টি হয়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায় প্রবতপুর, রায়পুর, রোকনপুর, নতুনকসবা, আলীপুর কান্দিপাড়া, বাউশী, আমড়াখাই, দাউদপুর, বুড়িনাও,বাদে সোনাইত্যা,মোস্তফাপুরসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা চলতি বছরের ২য় সাময়িক পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ছাড়াই দিতে হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাগজ নিম্ন মানের হওয়াতে শিক্ষক-শিক্ষিকা অভিভাবক মন্ডলী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।জনৈক শিক্ষক দুঃখ প্রকাশ করেবলেন, উপজেলার প্রত্যেক স্কুলে ১ সেট করে অতিরিক্ত প্রশ্ন দেওয়ার বিধান থাকলেও এ বছর অতিরিক্ত সেট না দেওয়ায় উত্তরপত্র মুল্যয়ন করতে বেশ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি সেট প্রশ্নপত্রের খরচ ১ থেকে দেড় টাকার মত হলেও আমরা প্রত্যেক সেট প্রশ্নের জন্য ৩ টাকা করে দিতে হয়। এ রকম প্রশ্নপত্র ছাড়াই উপজেরার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার সংবাদে তাদের অবিভাবক ও সচেতন মহলের মাঝে মার্ত্মাক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন অতীতে কোন উপজেলা শিক্ষা অফিসারের আমলে কখনো এ রকম ঘটনা ঘটে নাই। তাই কি কারনে এ বছর নবীগঞ্জ উপজেলায় সদ্য যোগদানকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি করলেন তা আমাদের বোগগম্য নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অবিভাবকরা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।