ফেরারি আসামি হলেও জুবের অধরা
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ ভূমি দখল, দলিল জালিয়াতি থেকে শুরু করে ধর্ষণসহ বিভিন্ন সব অপরাধের সাথে জড়িত জুবের। মামলার পলাতক আসামি হলেও রহস্যজনক কারণে এসএমপি পুলিশ জুবেরকে ধরছে না। এলাকাবাসী জানান, জাল দলিল তৈরি করে জমি দখল ও মামলা দিয়ে অনেককে পথে বসিয়েছে জুবের। এই ভয়ে কেউই তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা। তার এসব অপরাধের যেই প্রতিবাদ করেছে তাকেই সে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। নিরীহ মানুষকে পুলিশ দিয়ে হয়রাণী করতেও সে পটু বলে জানান ভূক্তভোগিরা।
জুবের বড়লেখা থানার গল্লাসাংগন গ্রামের শফিক উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে সে খদিম চৌমুহনীর বারাকাত ভবনের ভাড়াটিয়া। জুবের ইতোপূর্বে সবুজ সিলেট সম্পাদকের কর্মচারি ছিলো। এই সুবাধে সবুজ সিলেটের সম্পাদকের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেয়ার অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর পর থেকে জুবের আনোয়ার খন্দকার ওরফে মামা খন্দকারের শেল্টারে খাদিম শাহপরান এলাকায় বিভিন্ন ধরণের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ আছে খাদিমের বিআইডিসি এলাকায় নিয়মিত জুয়া ও মদের আসর বসায় জুবের। মামা খন্দকারের একটি মৎস্য খামারের দায়িত্বে থাকা বহুল আলোচিত এই জুবের খামারের ভেতরেও প্রতি রাতে অপরাধ কর্মকান্ড হয় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা।
চাকুরীর প্রলোভনে ঢাকায় নিয়ে এনে যুবতিকে গনধর্ষনের একটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে জুবের এখন ফেরারি। এর আগেও ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের সিআর ২০১/১০ নম্বর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি থাকা সত্ত্বেও এসএমপি পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাকে গ্রেফতার করেনি। বরং পুলিশের সাথে তাঁর ছিল মাখামাখি। বর্তমানে ঢাকার একই আদালত ১৪৭/১৪ নম্বর মামলায় জুবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ধর্ষণ মামলার বাদির অভিযোগ, মামলা তুলে নিতে জুবের প্রাণে মারার হুমকিসহ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।