সুনামগঞ্জে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোলেরগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত ২০ বছর ধরে বিদ্যালয় পূনঃ মেরামতসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দুই জায়গায় দুই নাম ব্যবহার করে সরকারি বেতন ভাতাও নিয়মিত উক্তোলন করছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট এলাকাসীর পক্ষ থেকে ১৫৭ জনের স্বাক্ষরিত এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষক গত ২০ বছর যাবত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার আপন চাচা মন্তাজ আলীর নাম ব্যবহার করে বিদ্যালয়ের পূনঃ মেরামত করার জন্য সরকারের গৃহীত লাখ লাখ টাকা ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে মেরামত না করেই আত্মসাত করেছেন। অপরদিকে প্রধান শিক্ষক তার ক্ষমতার অপব্যবহারে বিদ্যালয়ে প্রতিমাসে ২/১ দিন উপস্থিত থেকে হাজিরা খাতায় গড় হাজিরা স্বাক্ষর পূর্বক নিয়মিত মাসিক বেতন ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। নিজ গ্রামে বিদ্যালয়টি হওয়ায় ব্যাক্তিগত কাজে লিপ্ত থেকে গ্রামের সহজ সরল নিরীহ বহু মানুষের জমিজমা,বাড়িঘর জবর দখল করে নিচ্ছেন। এই শিক্ষক নিজ গ্রামের ২৬ জন সহজ সরল কৃষকের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক আই, আর,ডি,পি সুনামগঞ্জ টি,সি,সি এ লিঃ এর আওতায় নিজ গ্রামে কৃষক সমবায় সমিতির নামে একটি সংগঠন করেন । উক্ত সংগঠনের নির্বাচিত ম্যানেজার হিসাবে ঐ প্রধান শিক্ষক আহমদ আলীর নাম অন্তভুক্তি করে নিবন্ধিত হন। যাহার নিবন্ধিত নম্বর-১১১৬। তারিখ ২৭/০৮/১৯৮০ ইং। ম্যানেজার আহমদ আলী সেজে তিনি সমবায় সমিতির সম্পূর্ন সঞ্চয়ের টাকা প্রতারনা মূলকভাবে নানা সময়ে আত্মসাত করে আসছেন। তিনি গোলাম মোস্তফা নাম ব্যবহার করে সরকারী চাকুরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। একই ব্যক্তি দুটি নাম ব্যবহার করে তিনি সরকারের বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আহমদ আলী ওরফে গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনিত অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গ্রামে দু”টি দল থাকায় একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্নভাবে অফিস আদালতে অভিযোগ প্রদান করে আসছে। জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কিশলয় চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে জানান, শ্রীঘ্রই সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করা হবে অভিযোগের সত্যতা পেলে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।