মার্কস অলরাউন্ডে নাবিল সেরা দশ থেকে লাকি সেভেন
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ মার্কস অলরাউন্ডের প্রতিভার ঝলকে সেরা হও পলকে স্কুল বিত্তিক প্রতিভা যাচাই প্রতিযোগীতা ২০১৪ অনুষ্টিত পারফরম্যান্সের চলমান ধারা এখনো চলছে। সারা বাংলাদেশে হয়ে যাওয়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক দুটি বিভাগে অংশ নেয় প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা। “দেখাও যত প্রতিভা তোমার” মার্কস অলরাউন্ডের শ্লোগানকে বুকে ধারন করে সাদমান সাকিব নাবিল। ব্লুবার্ড স্কুলের ক্লাস থ্রি-তে পড়ার পাশাপাশি আবৃত্তি সংগঠন মুক্তাক্ষরের পরিচালক ও প্রশিক্ষক বিমল করের কাছে তালিম নেয়া ও পুঞ্জিভুত থাকা প্রতিভা উজার করা উপস্থাপন করে রিজিওনাল রাউন্ডে পৌছে। গত ৮জুলাই ঢাকার বিএফডিসির জসিম ফ্লোরে ৫০জনের মধ্যে ন্যাশনাল রাউন্ডে স্থান করে নেয় নাবিল। মার্কস অলরাউন্ডার প্রতিযোগীতার এই তৃতীয় আসরে বিচারক হিসেবে থেকেছেন শমী কায়সার, পার্থ বড়–য়া ও ঈশিতা। থিয়েটার রাউন্ডে ৩৪থেকে ২৬ জনের মধ্যে স্থান করে নেয় নাবিল। রাজধানীর বিএফডিসিতে অনুষ্টানটির থিয়েটার রাউন্ডের ধারন কাজ চলে ১৯জুলাই পর্যন্ত। প্রতিযোগীতার আয়োজক প্রতিষ্ঠান আবু খায়ের গ্র“প সুত্রে জানাযায় বরাবরের মত এবারের আসরেও অংশ নিয়েছে সারা দেশের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। গান, অভিনয়, গল্পবলা, চিত্রাংকন এবং উপস্থিত বক্তৃতা বিভাগে আগ্রহী অংশ গ্রহনকারীদের প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণীর এবং ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়। সেখান থেকে ২৬জন প্রতিযোগীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল থিয়েটার রাউন্ড বা মূল পর্ব। সিলেটের নাবিল ২৬ থেকে ১৩তে এবং গ্র“মিংয়ের পরে ১৩থেকে ৯জনের স্থানের পর হাড্ডাহাড্ডির প্রতিযোগীতার পর লাকি সেভেনে নিজেকে উপস্থাপন করে চলেছে। নাবিল এই পর্যায়ে আসতে গিয়ে প্রথমেই মুক্তাক্ষরের প্রশিক্ষক বিলম করের কাছ থেকে অভিনয়ের হাতেখড়ির পর থেকেই বিভিন্ন কলাকৌশল রক্ত করে প্রাণনিংড়ে উপস্থাপনে প্রাথমিক বিভাগে সেরাদের মধ্যে সারা বাংলাদেশে ২য় স্থান অর্জন করে রুপ্য পদকের গৌরভ লাভ করে তৎসঙ্গে একটি কম্পিউটার। নাবিলের মূল বিষয় অভিনয় থাকলেও তার অন্যদুটি অপশন ছিল গল্পবলা ও আবৃত্তি। সিলেট জেলা শিশু একাডেমীর পাশাপাশি মুক্তাক্ষরে গল্পবলা ও আবৃত্তি প্রাণনিংড়ে আত্তস্ত করায় সে তার পারফরম্যান্সের উজ্জল্যের ঝলকানী এখনো দেখিয়ে চলেছে। নাবিল প্রথমেই বিমল করের কোরিওগ্রাফে এই প্রতিযোগীতায় ভিতুভূত ও সাতচুন্নির অভিনয়ে বিচারকদের প্রকম্পিত করে নিজের একটা জায়গা করে নেবার পর গ্র“মিং পর্বে আরো শান দেয় অভিনয়ে। অবশেষে লাকি সেভেনে আসতে গিয়ে বর্ষা নিয়ে “ব্যাঙ, চড়–ই পাখি এবং পালাপার্বনে বষন্তের কোকিল” খুব সুন্দর নিজেকে উপস্থাপন করে। যা অনিয়ারে প্রচার হলে সবারই নজর কারবে। গ্র“মিং পর্বে আবৃত্তিতে ঢাকার মেহেদী ও গল্পবলা দীপা ম্যাডাম নাবিলকে যেভাবে করতে বলা হয়েছে ঠিক সেভাবেই নাবিল অলরাউন্ডের অভিনয়ের এখনো পরিশ্রমিক সৈনিক। এখনো লাকি সেভেনে সাদমান সাকিব নাবিল যেন সিলেটের সুনাম ধরে রেখেছে। তার পিতা আব্দুল কাইয়ুম রফিক অনবরত তার প্রতিভাতে উৎসাহ দিয়ে চলেছেন। মা নুরুন নাহার মিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন, ছেলেকে আরও এগিয়ে যাওয়ার লক্ষে শিগ্রই শুরু হবে গ্র্যান্ড ফাইনালের গ্র“মিং পর্ব। তার আগে এখন ব্যস্থ রয়েছে মুক্তাক্ষরের প্রশিক্ষক বিমল করের কাছে ভাব, বডি ও সাইন ল্যাংগুয়েজের অভিনয়ের পাশাপাশি আবৃত্তি, গল্পবলা সুক্ষ প্রশিক্ষনে। নাবিলকে নিয়ে বিমল কর বলেন বেশির ভাগ শিশুরাই পাকাপক্ত হয়ে প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে। নাবিল ছিল কাঁচা মাটি। যা মার্কস অলরাউন্ড প্রতিযোগীতা চেয়েছিল। গ্র“মিং থেকে শিক্ষা নিয়ে সে সবার দোয়ায় সিলেটের সুনাম রাখবে। আগামী ৮আগষ্ট থেকে এনটিভিতে শুক্র ও শনি রাত সাড়ে ৯টায় প্রচার হবে মূল প্রতিযোগীতার ধারণকৃত অংশ। সিলেট সহ সারা দেশে দেখতে পারবে নাবিলের প্রাণবন্ত পারফরম্যান্স। দেখতে পারবে কিভাবে নাবিল চুগান্ত ভাবে গ্র্যান্ড ফাইনেলে নিজেকে নিয়ে এসেছে। আর সেই লাকি সেভেন প্রতিযোগী গ্র্যান্ড ফাইনেলে অংশ গ্রহন করবে। মিষ্টি ভাষি ফুটফুটে নাবিল মনে করে গ্র“মিং প্রশিক্ষনে পৌঁছে দিতে পারবে চুড়ান্ত বিজয়ের কাছে। মার্কস অলরাউন্ডে সিলেটের নাবিল পৌছতে পারবে তখনি, সিলেট তথা সারা বাংলাদেশের মানুষের সহযোগীতা ও দোয়া পেলে। এখন সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সকল কালচারাল দর্শকশ্রোতা নাবিলের জন্য প্রয়োজন উদাত্তভাবে প্রাণজল সমর্থন।