সমাজকল্যান মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আলেম সমাজের মাঝে প্রতিবাদের ঝড়

sayed-mohsin-aliউত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)থেকেঃ নবীগঞ্জ উপজেলার তাহিরপুর মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে গত শনিবার একে ট্রাষ্টের উদ্বোধনী অনুষ্টানের জনসভায় সমাজকল্যান মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী,আলেম সমাজকে নিয়ে দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জের আলেম,ওলামা সমাজের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তারা সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও আলেম,ওলামাদের নিয়ে মন্ত্রীর কটুক্তিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবী জানান। অন্যতায় কঠোর কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামার হুমকী দিয়েছেন আলেম সমাজ। বিবৃতিদাতাগণ হলেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওঃ মোশাহিদ আলী,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু, নবীগঞ্জ উপজেলা হেফাজতের সভাপতি মাওঃ কাজী হারুনুর রশীদ,আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় নেতা মাওঃ কাজী হাসান আলী,বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ উপজেলা সভাপতি হাফিজ আব্দুল্লাহ নেজামী,উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওঃ রুহুল আমীন,পৌর আল ইসলাহ’র সভাপতি হাফিজ রুহুল আমীন,আল ইসলাহ’র সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম,জমিয়তুল মোদারিছিল’র সেক্রেটারী মাওঃ আব্দুর নুর,ওলামা দলের সহ-সভাপতি মাওঃ মোস্তফা আল হাদী, জামায়াতের সেক্রেটারী মাওঃ জসিম উদ্দিন,সাবেক ছাত্রদলের প্রতিষ্টাতা সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী,বিএনপি নেতা মাওঃ শুয়াইব আহমদ চৌধুরী,মাওঃ আব্দুল কাদির হোসাইনী ও জেলা জমিয়তের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ আব্দুর রকিব হক্কানী,যুবদল সভাপতি এটিএম সালাম,যুবদলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওঃ রোমন আহমদ,স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিতু মিয়া সেন্টু,ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম মিঠু প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের তাহিরপুর মাদ্রাসা প্রাঙ্গনের জনসভায় মাদ্রাসা শিক্ষার তীব্র সমালোচনা করে মাদ্রাসা শিক্ষা পরিহার করে কারিগড়ি শিক্ষা নেয়ার অনুরুধ ও মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধের হুমকি সংক্রান্ত সমাজকল্যান মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর বক্তব্য নিয়ে আলেম সমাজে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেছেন মাদ্রাসা শিক্ষা মান সম্মত নয়। মাদ্রাসার ছাত্ররা কামিল পাশ করে ইংরেজীতে প্রেসিডেন্ট এর নাম লিখতে পারে না। অন্যতায় মাদ্রাসা গুলো কে তদন্ত করে বন্ধ করে দেওয়া হবে। মাদ্রাসার ছাত্ররা সারারাত তছবিহ পড়ে সকালে এক হাজার টাকা নিয়ে যায়। তছবিহ পড়া আর শিরনী খাওয়া ছাড়া তাদের কোন কাজ নাই। মাদ্রাসা শিক্ষার দরকার নাই,কারিগড়ি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। মাদ্রাসার যে ছাত্র ইংরেজী নাম ঠিকানা লিখতে পারেনা তাদের দিয়ে আমাদের কোন লাভ নেই। মাদ্রাসার হুজুর মানুষের বাড়ি দাওয়াত খাওয়া ছাড়া আর কোন কাজ করেন না। আগামীতে আমি হবিগঞ্জ মৌলভীবাজার এলাকার প্রত্যকটি মাদ্রাসা পরিদর্শন করে যথাযত শিক্ষার মান না পেলে সুপারদের মাদ্রাসা থেকে বাহির করে দিবো। ইত্যাদি বক্তব্য গতকাল রবিবারের দৈনিক আমার দেশসহ বিভিন্ন স্থানীয়-জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আলেম সমাজের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় উটে। তারা তাৎক্ষনিক সংবাদ পত্রে বিবৃতি দিয়ে মন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবী জানান। অন্যতায় দূর্বার আন্দোলনের হুমকী দেন।