ইবটিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হাসপাতালে প্রতিবাদী জুয়েল
শাল্লা ( সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মিহির রায়ের বাতিজা জুয়েল রায় (১৭) ও প্রতিবেশী রবীন্দ্র রায়ের ছেলে শংকর রায় (১৮) এর মধ্যে ২৩ জুলাই অনুমান দুপুর ২টায় গোসল করতে গিয়ে দুজনের মধ্যে ইবটিজিং থেকে বিরত থাকার জন্য কথা কাটাকাটি হয়। তারপর বিকাল ৩ টায় জুয়েল রায় আনন্দপুর বাজারে খাবার নিয়ে যাওয়ার পথে উৎপেথে থাকা শংকর রায়ের হামলার শিকার হয়। জুয়েলের আতœচিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন ছুটে এলে শংকর রায় পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় জুয়েল রায়কে তাৎক্ষনিকভাবে শাল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ হেলাল উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন জুয়েলের মাথায় ১৬ টি সেলাই করা হয়েছে এবং তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন আছে। বাতিজার আহতের খবর শুনে পাশ্ববর্তী দিরাই থানার পেরুয়া গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্টান থেকে গত বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় বাড়ি এসে শংকরের পিতা রবীন্দ্র রায়কে জিঙ্গেস করতে গিয়ে পাশে থাকা তার ছেলে অলক রায় মেম্বার মিহির রায়কে অতর্কিতে দা দিয়ে আঘাত করার উদ্দেশ্যে এগিয়ে এলে , নিজের প্রান বাচাতে মেম্বার মিহির রায় অলকের হাতে ঝাপটে ধরলে উভয়ের মধ্যে টানা হিছড়ে শুরু হয়।এক পর্যায়ে দা টি অলকের হাতে লেগে গেলে তার হাতে সামান্য জখম হয়। এব্যপারে জুয়েলের কাকা মিহির মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রবীন্দ্র রায়ের ছেলে শংকর রায় প্রায়ই এলাকায় মেয়ে ছেলেদের ইবটিজিং করে থাকে। তার এ কাজের জন্য প্রায়ই তার বাবাকে জানানো হয় তবুও কোনো সুফল পাওয়া যায় না। তাই এই প্রতিবাদ করতে গিয়ে এখন মৃত্যুর সাথে লড়ছে আমার বাতিজা জুয়েল। তিনি আরও বলেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জুয়েলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে আনা হয়েছে এবং তার চিকিৎসা চলছে।