জ্বলন্ত লোহার রড ধরে সতীত্ব পরীক্ষা!
সুরমা টাইমসঃ হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিকেই স্মরণ করিয়ে দিলো ভারতে ঘটনাটি। সীতাকে উদ্ধার করার পর রাবনকে ফিরে পেতে যেমন সীতাকে তার সতীত্বের পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। ঠিক তেমনি আজকের আধুনিক যুগে জ্বলন্ত লোহার রড ধরে সতীত্বের পরীক্ষা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।আজকাল এই সমাজে স্ত্রীর পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি এবং তা না দেয়ায় স্ত্রীকে মারধরের ঘটনা নতুন নয়। পৃথিবীর অনেক দেশেই এমন ঘটনা হরহামেশা ঘটতে দেখা যায়। তবে স্ত্রীর সতীত্ব প্রমাণের জন্য গরম লোহার রড ধরে অগ্নিপরীক্ষা দেয়ার মত ঘটনা আধুনিক যুগে হয়ত বিরল।
এমনই এক ঘটনার শিকার হয়েছেন ভারতীয় গৃহবধূ পুনম (২৫)। পরে তিনি এবং তার পরিবার আদালতে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছে।
বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইনডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ নিয়ে বিস্তারিত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।এতে দেখা যায়,
বুধবার পুনমের অভিযোগের ভিত্তিতে দেশটির স্থানীয় এক আদালত পুনমের স্বামী কুনাল ওতকার, শাশুড়ি তারা এবং তাদের দুই জন ঘনিষ্ঠ লীলা ও সন্দ্বীপের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ ধারায় মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুনমের আইনজীবী সন্তোষ খোয়ারে জানিয়েছেন, পুনমকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে সতীত্বের অগ্নিপরীক্ষা দিতে জোর করেছিলেন তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
পুনম কঞ্জর সম্প্রদায়ের মেয়ে। ২০০৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর কুনালের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর কুনাল পুনমকে তার বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ রুপি যৌতুক আনতে বলেন। পুনম না আনায় কুনাল তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে শুরু করেন।
পরে কুনালের পরিবার পুনমের চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করে এবং তাকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে উত্তপ্ত লোহার রড ধরে অগ্নিপরীক্ষা দিতে বলে।
কিন্তু পুনম ও তার বাবা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। পরে তার শ্বাশুড়ি বলেন, ‘গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের সামাজিকভাবে বর্জন করেছেন।’
পুনমের অভিযোগ, গত ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের পরিবারকে সামাজিকভাবে বর্জন করে রাখা হয়েছে। তাদের পরিবারকে কেউ কোনও অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করেনি। এমনকি তাদের বাড়িতেও কেউ যায়নি।