ওসমানীনগরে পাওয়া অজ্ঞাতনামা লাশটি দক্ষিণ সুরমার সিএনজি চালক কয়েছের
দক্ষিণ সুরমা সংবাদদাতাঃ সিলেটের ওসমানীনগরে পাওয়া যুবকের লাশটি সিএনজি চালক কয়েছের। ঘাতকরা তাকে হত্যা করে সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে গেছে। নিহত কয়েছ (২৫) দক্ষিণ সুরমার চান্দাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের তাজুল মিয়ার ছেলে। সে এক সন্তানের জনক। গত শনিবার ওসমানীনগরের বুরুঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব তিলপাড়া এলাকা থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় কয়েছের লাশ উদ্ধার করা হলেও নাম পরিচয় না থাকার কারণে পুলিশ বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে তাকে দাফন করে মানিকপীর টিলায়। পরে ঐ দিনগত রাতে সংবাদ পেয়ে কয়েছের ভাই থানায় রক্ষিত ছবি দেখে সনাক্ত করেন। থানা সূত্রে জানা যায়, ওসমানীনগর পূর্ব তিলপাড়া তখলিছ মিয়ার বাড়ির পাশ্ববর্তী খালে (২৫) বছরের ওই যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। ঘটনাটি ওসমানীনগর থানায় জানানো হলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। লাশ উদ্ধারের পূর্বে গাড়ীর মালিক সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকার মৃত মশাইদ আলীর ছেলে আব্দুল হাই দক্ষিণ সুরমা থানায় কয়েছ নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরী করেন। ডায়েরী নং-৯৮১(২০১৪)ইং। সাধারণ ডায়েরীতে তিনি উল্লেখ করেন,চালক কয়েছ প্রতিদিনের মতো গত শুক্রবার সকাল ১০ টায় গাড়ী নিয়ে বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেলেও তাকে আর খোজেঁ পাওয়া যায়নি। কয়েছের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেলে সন্দেহ আরো ঘণিভূত হয়। পরে চারিদিকে কয়েছের সন্ধান করে না পাওয়াতে অবশেষে তার খোঁজ পাওয়া যায় ওসমানীনগর থানায়। গাড়ীর মালিক আব্দুল হাই ক্ষোভের সাথে জানান,পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর লাশটির স্বজনদের অপেক্ষা না করে কিংবা ওসমানী হাসপাতালের হিমাগারে না রেখে দ্রুত দাফন করেছে। আর এ জন্য কয়েছের মৃত দেহ পাওয়া যায়নি। শেষ দেখা দেখতে পারেনি কয়েছের স্ত্রী কিংবা তার স্বজনরা। তিনি গাড়ী ছিনতাইকারী ঘাতকদের অভিলম্বে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।