সিলেটের রাজনীতি ধংসের জন্য শফিক চৌধুরী দায়ী

বিশ্বনাথে আওয়ামী লীগের ‘ভবিষৎত রাজনীতি শীর্ষক’আলোচনায় বক্তারা

photo-তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথ: সিলেটের রাজনীতি ধংসের জন্য দায়ী জেলা আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী। ২০০৮ সালে শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগ কে শক্তিশালী করার পরিবর্তে সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, দশঘর ইউনিয়ন সভাপতি মানিক মিয়া কে অঘটনতান্ত্রিকভাবে অব্যাহতিসহ দলে কোন্দল সৃষ্ঠি ও সুবিধাভোগিদের আশ্রয়-প্রশয় দিয়ে দল কে ধংস করছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগ (একাংশ পদত্যাগকারী নেতাদের) উদ্যোগে আয়োজিত স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের ভবিষৎত রাজনীতি শীর্ষক আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধে এসব অভিযোগ করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জজবেদুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাষ্ঠার মো. ফখরউদ্দিন। যুগ্ন-সম্পাদক এ.এইচ.এম ফিরোজ আলী ও বিরেন্দ্র কর এর যৌথ পরিচালনায় আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন বিমল চন্দ্র দাশ, মো. ছয়ফুল হক, ফখরুল আহমদ মতছিন, আনোয়ার হোসেন, ফারুক আহমদ, পীর সিরাজুল ইসলাম, তাজউদ্দিন খান শিশু, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, লোকমান আহমদ, মানিক মিয়া, হরুপ খান, নজির আহমদ, খবিরউদ্দিন, ডাক্তার শানুর হোসেন, শেখ মো. বাবরুছ আলী মেম্বার, বসারত আলী বাছা, হোসাইন আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসির আহমদ, শেখ শহিদুল ইসলাম, গোলাম নূর, নূরুল ইসলাম, ফারুক আহমদ, সমর কুমার দাশ, রুনু কান্ত দে, আছাবউদ্দিন, মাহবুবুর রহমান লিলু, আব্দুল মনাফ, হেলাল মিয়া, শাহ আলতাফুর রহমান, ইসকন্দর আলী, আব্দুস সোবহান, রফিক আলী মেম্বার, কবির আহমদ, রিয়ান আলী, আব্দুল মালিক সুমন, ফজলু মিয়া, নিজামউদ্দিন, আব্দুল মতিন, কয়েস চৌধুরী, সেলিম চৌধুরী, জহুর আলী, আফরোজ আলী, রুহেল খান, সনজিৎ আচার্য্য, পার্থ সারথী দাশ পাপ্পু, আব্দুল রশীদ, লিয়াকত আলী, শাহিন মিয়া, ফজর আলী, কদর আলী, গিয়াস মিয়াসহ উপজেলার ৭২টি ওয়ার্ডের ৩৫ জন সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির ২৫ জন নেতাকর্মীসহ প্রায় সহস্রাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত প্রবন্ধের এক পর্যায়ে বলা হয়েছে, সিলেট সিটি নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী পরাজিত হওয়ার জন্য শফিকুর রহমান চৌধুরী রাজনীতির অধ্যক্ষতাই দায়ী। সভায় উপস্থিত কর্মী সমর্থকরা হাত তুলে আগামী দিনে বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগ কে সচ্ছ, সুন্দর এবং নীতি আদর্শের সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলা এবং দূর্নীতিবাজদের দল থেকে বিদায় করা অঙ্গীকার করেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।