জৈন্তাপুরে এক ব্যক্তির কাছে জিম্মি দুই গ্রামের মানুষ

Sylhet Photo-2সুরমা টাইমস ডেস্কঃ জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ভটামারা ও সাতজনী গ্রাম। রয়েছে হাবিব নগর চা বাগান। এ দুই গ্রামের লোকজন বাগানের শ্রমিকরা চলাচল করেন একটি রাস্তা দিয়ে। কিন্তু এই রাস্তাটিতে এখন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে একটি স্বার্থন্বেসী মহল। ফলে গ্রামবাসী এমনকি স্কুল ছাত্ররাও চলাচল করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পাশ্ববর্তী পানিছড়া গ্রামের মাস্তফা কামাল দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছেন। রাস্তাটিকে তিনি ব্যক্তি রাস্তায় পরিণত করতে চান। মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে এ অভিযোগ করেন ভটামারা ও সাতজনী গ্রামের বাসিন্দারা। সংবাদ সম্মেলনে এলাকার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দেলোয়ার হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্থানীয় পানিছড়া ও খোয়াইঘর এলাকার মধ্যবর্তী স্থান হয়ে একটি রাস্তা চিকনাগুল বাজার পর্যন্ত সিলেট-তামাবিল সড়কে এসে মিলিত হয়েছে। সাড়ে ৭শ’ ফুটের দৈর্ঘ্যের এই রাস্তার মধ্যভাগে রাস্তার পাশে মোস্তফা কামালের বাড়ি অবস্থিত। বাড়ির সামনের ১শ’৩০ ফুট (২.৬০ ডিসিমেল) জায়গা দখলে নিয়ে মোস্তফা কামাল জনসাধারণের চলাচলের এই রাস্তার গতিপথ পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন। গ্রামের জনসাধারণ যাতে চলাচলে বাধাগ্রস্থ হয় এজন্য তিনি রাস্তার দুই পাশে বাঁধ দিয়ে রাস্তায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে রেখেছেন। এলাকার পক্ষ থেকে মাটি ভরাটের চেষ্টা করা হলে রাস্তাটি সংস্কারে বাধা হয়ে দাঁড়ান মোস্তফা ও তার সমন্ধি ৬ নং চিকনাগুল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ফরিদ আহমদ। এতে করে এলাকার ছেলে-বুড়ো, স্কুল শিক্ষার্থীরা জলাবদ্ধ রাস্তা ডিঙিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকরী ভূমিকা নেওয়া যাচ্ছে না। উপরন্তু রাস্তাটি নিয়ে এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন মোস্তাফা কামাল। পুলিশ এ অভিযোগগুলোর ৭ ধারা প্রসিকিউশন আদালতে দাখিল করলে বিচারক সেগুলো খারিজ করে দেন। এ ঘটনায় সহকারি জজ আদালতে আরেকটি স্বত্ব মামলা চলছে। মামলার রায় হওয়ার আগ পর্যন্ত এলাকার লোকজন মাটি ভরাট করে রাস্তা সংস্কারের ব্যর্থ চেষ্টা করেন।
কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ্ওই রাস্তার পাশ্ববর্তী পানিছড়া এলাকার মোস্তফা কামাল রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছেন। তিনি গ্রামের এই রাস্তাটি বন্ধ করে নিজের বাড়ির রাস্তায় পরিণত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চিকনাগুল ইউনিয়নের ভটামারা ও সাতজনী গ্রামবাসীর এবং হাবিব নগর চা বাগানের শ্রমিকরা চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।
বিষয়টি চিকনাগুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু জাকারিয়া মোহাম্মদ আব্দুল বারীকে একাধিকবার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে তিনিও পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় বঞ্চনার শিকার হওয়া এলাকাবাসী জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ প্রধান সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজ মিয়ার কাছে নালিশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, মকবুল হোসেন,ময়নুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান, কুটু মিয়া, নজরুল ইসলাম, আহাদ আহমদ, খয়রুন নেছা, রায়হান হোসেন, রাহিম হোসেন ও আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।