প্রেমের টানে ধর্মান্তরিত হয়ে আদালতে প্রেমিক যুগল : জামিন নামঞ্জুর

ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে ধর্মান্তরিত হয়ে সংসারি হওয়ার পর অপহরণ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করেছে প্রেমিক যুগল। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে প্রেমিককে কারাগারে ও ভিকটিম প্রেমিকাকে নিরাপদ হেফাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী এলাকার মশলঘাট গ্রামের দিনেন চন্দ্র চন্দের মেয়ে লিপি রাণী চন্দ ১৯ জুন সকাল ১০ টায় লালাবাজার স্কুল এন্ড কলেজে পরীক্ষা দিতে যায়। সে লালাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। সেখানে সে যথারীতি পরিক্ষা দিয়ে ওইদিন দুপুর দেড়টার দিকে স্কুল থেকে বাসায় ফিরার পথে জাবেদ আহমদ তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে। পরে জাবেদ তাকে নিয়ে লামাকাজিতে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রীটিকে রেখে জাবেদ স্থানীয় একজন ইমামের মাধ্যমে তাকে ধর্মান্তরিত করে। ১৯ জুন নোটারী পাবলিকের (হলফনামা) মাধ্যমে ছাত্রীটির নাম পরিবর্তন করা হয়।
২১ জুন অপহরক মো. জাবেদ প্রেমের জালে আটকে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার দেনমোহর সাব্যস্তক্রমে মেয়েটিকে বিয়ে করে লামাকাজি তার আত্মীয়ের বাড়িতে সংসার করতে থাকে। বিয়ের কাবিনে মেয়েটির জন্ম তারিখ ১৭ মার্চ ১৯৯৫ ইং লিখা হয়। কিন্তু স্কুল সার্টিফিকেটে তার জন্ম তারিখ ২৬ আগষ্ট ১৯৯৭ ইং লেখা রয়েছে।
ধর্মান্তরিত লিপি জানায়, জাবেদের সাথে তার ২/৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। ঘটনার দিন সে,স্বেচ্ছায় জাবেদের সাথে পালিয়ে যায়। পরে জাবেদ তাকে নিয়ে লামাকাজিতে তার আত্মীয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে কালেমা পাঠ করে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। পরে কাবিন মূলে জাবেদ আমাকে বিয়ে করে ১৫/২০দিন ধরে দু’জন মিলে সংসার করতে থাকি। বৃহস্পতিবার আমরা দু’জন আদালতে আত্মসমর্পন করি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ সুরমার উপপরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান জানান। বুধবার রাতে থানার ওসি আসামী জাবেদের পিতা আহাদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসে ঘটনার বিষয়ে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ভিকটিম তারা সিলেট নারী নির্যাতন আদালতে আত্মসমর্পন করে। এ সময় আদালত ভিকটিম লিপির সার্বিক বয়স নির্ধারন ও ধর্ষণ সংক্রান্তে কোন ডাক্তারী সনদপত্র না থাকায় ভিকটিমের মামলা তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে সার্বিক বিবেচনায় সকল আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে আসামী জাবেদকে কারাগারে ও ভিকটিমকে বাগবাড়ী নিরাপদ হেফাজতে পাঠানো হয়। ভিকটিমের ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।