যুবলীগের নতুন কমিটি নিয়ে মুখোমুখি মুহিত-মিসবাহ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট মহানগর যুবলীগের নতুন কমিটি নিয়ে মুখোমুখি এখন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ অনুসারীরা। আবুল মাল মুহিত মনোনীত যুব লীগের নতুন কমিটি প্রত্যাখ্যান করে সোমবার সিলেট নগরীতে ঝাড়ু– মিছিল করেছেন অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ অনুসারী যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ঝাড়– মিছিল পরবর্তী সমাবেশে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা যুব লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবিরকে সিলেট অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বিরুদ্ধেও বিষোদগার করেন।
নতুন কমিটির বিরুদ্ধে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর রেজিস্টারি মাঠ থেকে এই ঝাড়ু– মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি চৌহাট্টায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন মহানগর যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুদীপ দে।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে মহানগর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুদীপ দে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত তার ভাগ্নি জামাই যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমদ আল কবিরকে নিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেছেন। ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে অর্থমন্ত্রীর পকেট কমিটি যুবলীগ নেতাকর্মীরা প্রত্যাখান করেছে। অবিলম্বে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’ সমাবেশে সিলেটে ড. আহমদ আল কবীরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন- ‘ড. আহমদ আল কবির চিহিৃত দালাল। তিনি কখনো আওয়ামী পরিবারের সদস্য ছিলেন না। তাকে দিয়ে যুবলীগ বা আওয়ামী লীগের কোন লাভ হবে না। তিনি সিলেটে আওয়ামী যুবলীগকে ধ্বংস করার মিশনে নেমেছেন।’
সমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবলীগের নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ হান্নান, সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক বিধান পাল, সাবেক আইন সম্পাদক ছাদিকুর রহমান, সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, যুবলীগ নেতা আব্দুর রহমান,পিযুষ কান্তি দে, শাহনেওয়াজ আলম পলাশ, আনোয়ারুল আলম, মিহির দেব, টিপাশ রায়, আব্দুল জলিল লেবু, তফাজ্জল হোসেন, রেজাউর রহমান সেলিম, শেখ আক্তার আহমদ, বাবলা হোসেন, বিশ্বজিৎ কর, বিশ্বজিৎ দাস, নজরুল ইসলাম নজু, মিটু মোহন দে, বাবুল হোসেন, জয় দেব, অনিক দাস, পারভেজ আহমদ, রাহী আহমদ, সুমন আহমদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, রোববার সিলেট মহানগর যুবলীগের ৬১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সিলেট যুবলীগের নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ। স্থানীয় রাজনীতিতে তারা সবাই মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ অনুসারী। আর নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া আহবায়ক ও চার যুগ্ম আহবায়কদের সবাই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী অনুসারী।
যুবলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দলের সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুদীপ দেসহ দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের স্থান হয়নি নতুন কমিটিতে। যারা নেতৃত্ব পেয়েছেন দলে তারা সুবিধাবাদী হিসেবেই চিহিৃত। মুহিত ও কবীর গংদের ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের একটি ব্যবসায়ী চক্র নগর যুবলীগের পকেট কমিটি অনুমোদন করিয়েছে। পদবঞ্চিত নেতারা অবিলম্বে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করারও হুমকি দেন।