এমসি ও সরকারি কলেজে ভর্তি বাণিজ্য : অস্ত্রের মুখে কলেজ প্রশাসন
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট এমসি ও সরকারি কলেজে এবার ২০১৪ সালের উচ্ছ মাধ্যমিক একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি বাণিজ্য করার জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে ত্রাস সৃষ্টি করেছে ছাত্রলীগ। কলেজ প্রভাব বিস্তার ও অস্ত্রের মুখে কলেজ প্রশাসনকে জিম্মি করে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে অর্থ আদায়ের জন্য ক্যাম্পাসে তারা অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছেন। এমসি ও সরকারি কলেজে উচ্ছ মাধ্যমিকে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে ছাত্রলীগের গাঁজা টিটু,কালা সৌরভ,উজ্ঝল ও মাছুম ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়ে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তারা সবাই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু গ্র“পের কর্মী বলে জানা যায়।
কলেজ সুত্রে জানা যায় গত ২৩ জুন থেকে অনলাইনে মেধা তালিকা করে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার অপেক্ষামান তালিকার ভর্তির শেষ দিন। মেধা তালিকার মুল পর্বের ভর্তি শেষ হয় ২৫ জুন। মেধা তালিকায় যেসব শিক্ষার্থী নির্ধারিত দিনে ভর্তি হতে পারেননি তাদেরকে ২৬ জুন ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। ওই দিন প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকাও প্রকাশ করা হয়্। ওই অপেক্ষমাণ তালিকায় যারা সুযোগ পেয়েছেন তাদের ভর্তি ২৮ জুন নির্ধারণ করা হয়। তবে ২৫ জুন এমসি কলেজে কালা সৌরভ ও উজ্জ্বলের নেতৃতে এবং ২৬ জুন সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের গাঁজা টিটুর নেতৃত্বে মেধা তালিকা ছিঁড়ে ফেলে ছাত্রলীগ ক্যাডারায়। তারা মেধা তালিকার বাইরে তাদের পছন্দের শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তি করতে শিক্ষকদের উপর অনৈতিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করেন। এরপর থেকে প্রতিদিনই হিরন মাহমুদ নিপুর মদদে কলেজে মহড়া দিতে থাকেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু গ্র“পের ক্যাডারয়া। ক্যাম্পাসে মহড়া দিয়ে তারা ভর্তিচ্ছ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়ান। মেধা তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদেরকেও জিম্মি করে টাকা আদায় করে ছাত্রলীগ। প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তারা ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নেন । ইতিপূর্বে ছাত্রলীগের গাঁজা টিটু ৬০ হাজার টাকা ও কালা সৌরভ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে। হরিপুর থেকে আসা নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়েকে সরকারি কলেজে ভর্তির জন্য গাঁজা টিটু ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন । কিন্তু ৩ দিন যাবৎ ধরে গাঁজা টিটু ফোন ধরছেন না। এবং কলেজে তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কলেজের একটি সুত্রে জানা যায় গাঁজা টিটু প্রতি বছর সরকারি কলেজে গিয়ে ভর্তি বাণিজ্য করে থাকেন। তিনি এমসি কলেজের গণিতের মাষ্ঠার্সের ছাত্র থাকলেও এমসি কলেজে আসন সংখ্যা কম থাকায় সরকারি কলেজে আসন সংখ্যা বেশি হওয়া সেখানে গিয়ে ভর্তি বাণিজ্য করেন। এ ব্যাপারে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র ও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আশফাক আহমদ সীমা সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,যে যা কিছু করেন না কেনও ? অনলাইনে ভর্তি কেউ জোর করে ভর্তি করাতে চাইলেও পারবেন না। কারন পরবর্তিতে তাকে বোর্ড রেজিষ্ট্রেশন করতে দেবে না। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপু অস্ত্রের মহড়ার কথা এড়িয়ে গিয়ে বলেন,আমিতো ভর্তি বাণিজ্যের কথা কখনো শুনি নাই। তাছাড়া ছাত্রলীগ প্রতিবার ছাত্র ছাত্রীদের কে ভর্তি সময় সহযোগিতা করে আসে’।