মহিলা আ.লীগের ৩ নেত্রীর বিরুদ্ধে সমন

04সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নগরীর তাঁতীপাড়ায় সাবেক মহিলা সাংসদ ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সৈয়দা জেবুন্নেসা হকের বাসায় বোমা হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলায় স্বাক্ষী দিতে না আসায় ৩ নেত্রীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। সিলেটের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ দায়রা জজ আদালতে সোমবার অন্য দুই নেত্রীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
06আদালত সূত্র জানায়- বোমা হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলায় সোমবার আদালতে স্বাক্ষ্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহানারা বেগম শাহান ও কাজী জালাল উদ্দিন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী কৈতুন নেছা।
আদালতে স্বাক্ষ্য দিতে না আসয় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী হামিদা বেগম, বিভা রাণী ধর ও মাধুরী গুণের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। ওই মামলার ৩২ জন স্বাক্ষীর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত ৯ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আদালত মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ২৫ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন।
সোমবার আদালতে স্বাক্ষ্যগ্রহণের সময়ে আদালতে হাজির ছিলেন ওই মামলার অন্যতম আসামী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (জেএমবি)’র দেলোয়ার হোসেন রিপন।
মামলার অন্য আসামী মুফতী আব্দুল হান্নান মুন্সী ওরফে আবুল কামাল ওরফে আব্দুল মান্নান, মো. মফিজুল ইসলাম ওরফে মফিজ ওরফে অভি ওরফে মহিব উল্লা, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ ওরফে খাজা, মো. শরীফ সাহেদুল আলম বিপুল অন্য মামলায় ঢাকায় অবস্থান করায় তাদেরকে আদালতে হাজির করা সম্ভব্য হয়নি। এছাড়া মামলার আরেক আসামী হুমায়ুন কবীর হিমু পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগরীর ২২ তাঁতীপাড়াস্থ সৈয়দা জেবুন্নেছা হকের বাসায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভা চলাকালে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সৈয়দা জেবুন্নেছা হকসহ ৮ নেত্রী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় সৈয়দা জেবুন্নেছা হকের স্বামী এনামুল হক বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।