ঐক্যবদ্ধ হোন নইলে দেশ বিক্রি হয়ে যাবে
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ আন্ডার গ্রাউন্ড আন্দোলন নয়, ঈদের পর প্রকাশ্যে আন্দোলন হবে বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার রাতে চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাম্যবাদী দলের একাংশের যোগদান অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, অপহরণ, গুম ও খুনের মধ্যে দিয়ে দেশ আজ সংকটের মুখোমুখি। ফলে কে বড় আর কে ছোট সেটা দেখার বিষয় নয় এবং ডান-বামও দেখার সময় নেই। এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ না হলে দেশ বিক্রি হওয়ার সামিল হবে না, দেশ বিক্রিই হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অপশাসনে দেশ আজ দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। কোন ব্যাংকে আজ টাকা নেই। বর্হিবিশ্বের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আজ ভালো নয়। প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশ আজ বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে।
আওয়ামী লীগ তওবা করলেও তাদের সভাব চরিত্রের কোন পরিবর্তন হবে না বলে দাবি করেন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের দু:শাসনের ফলে দেশের মানুষ ভালো নেই। মানুষের জীবনে আজ কোন নিরাপত্তা নেই। কারণ তারা সব কিছু লুটপাট করে খাচ্ছে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, রুশের কথা আপনারা বলছেন। কিন্তু রুশের বলয়ে আজ আওয়ামী লীগ চলে এসেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ধর্মের কথা বলে তাদেরকে শোষণ করে। কিন্তু তারা ধর্মের জন্য কিছু কাজ করে না। প্রকৃত পক্ষে বিএনপি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য কাজ করে।
ক্ষমতাসীনরা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশকে গ্রাস করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বেগম জিয়া।
দুর্নীতিবাজ, ভোটারবিহীন ও অন্যায়ভাবে জবরদখলকারি সরকারকে বিদার করতে হবে, অন্যথায় দেশের কোন উন্নয়ন হবে না বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৯ দলীয় জোট আজ ২০ দলীয় জোটে পরিনত হল। ভবিষ্যতে জোটের আকার আরো বৃদ্ধি পাবে।
১৯ দলীয় জোটে যোগ দেয়ায় সাম্যবাদী দলকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করেই সাম্যবাদী দল ১৯ দলীয় জোটে যোগদান করেছে। এর ফলে সরকারবিরোধী আন্দোলন আরো জোরদার হবে।
কমরেড সাঈদ আহমেদের নেতৃত্বে বৈঠকে সাম্যবাদী দলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, কমরেড মেজবা উদ্দিন মিন্টু, কমরেড আরিফুল হক সুমন, কমরেড হানিফুল কবির, কমরেড কাজী মোস্তফা কামাল, কমরেড সাহানা চিনু প্রমুখ। এসময় তারা বেগম খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৯ দলীয় জোটের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদ, জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ, মহাসচিব মোস্তাফা জামাল হায়দার, খেলাফত মজলিশের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, এনপিপি মহাসচিব ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মুর্তজা, ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টি আব্দুল মোবিন, মুসলিমলীগের সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহম্মদ আব্দুল কাদের, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ- ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।