‘সম্ভ্রম’ বাঁচাতে ৮ বছর ধরে শেকলে বন্দি মিনতি !

minotiসুরমা টাইমস ডেস্কঃ পড়ালেখা হল না মিনতির। বরং কুসংস্কারের দরুণ ‘সম্ভ্রম’ বাঁচাতে পায়ে ডান্ডাবেরি পরিয়ে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় ৮ বছর ধরে বন্দি জীবন যাপন করছে মিনতি রাণী (২২)। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুটে উঠেছে বন্দিদশার করুণ চিত্র। আর এই ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায়। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে তার পায়ে শেকল দিয়ে রাখায় পায়ের গোড়ালীতে তৈরি হয়েছে ক্ষত। বোনের বিয়েই কাল হয়ে দাড়ায় মিনতির। পাত্র পক্ষ তার বড় বোনকে বিয়ে করতে এসে পছন্দ করে শিশু মিনতিকে। তখন তার বয়স মাত্র ৭ বছর। সে কারণে তাকে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি তার পরিবার। তার পর থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন মিনতি। ডাক্তার, কবিরাজ, ঝাড়ফুক ও তাবিজ কবজ করেও কোন কাজ হয় নি। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া বাজার সংলগ্ন শিমুল তাইড় মাস্টারপাড়া গ্রামের শ্রীধিনিয়া মেয়ে মিনতি। বাজারের ফুটপাতে হলুদ, লবন বিক্রি করেন শ্রীধিনিয়্। কান্নাজড়িত কন্ঠে মিনতির মা বলেন, সপ্তম শ্রেনীতে পড়ার সময় মিনতির উপর অশুভ আত্মার কু-দৃষ্টি পড়ে। এ সময় সে হঠাৎ একদিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। কবিরাজদের দেয়া তাবিজ-কবজ, পানি পড়া আর ঝাড়ফুকের মাধ্যমে তাকে ভালো করার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু কোন কাজ হয় নি। একপর্যায়ে পাড়া প্রতিবেশীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকে মিনতি। যখন তখন দৌড়ে বাড়ীর বাইরে চলে যায়। যার ফলে তাকে নিয়ে দু:শ্চিন্তা আমাদের। আর ভূত-প্রেতের আছরে ব্যাপারে ডাক্তার কি করবে! মেয়েয় সম্ভ্র্রম রক্ষার জন্যই তাকে শিকল পড়িয়েছি। ইউএনও আব্দুল আউয়াল জানালেন, বিষয়টি খুবই অমানবিক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবার এবং স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিস্তারিত…» ‘সম্ভ্রম’ বাঁচাতে ৮ বছর ধরে শেকলে বন্দি মিনতি!