নূর হোসেনকে ফেরাতে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ বন্দী বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী কলকাতায় ধৃত বাংলাদেশের বহু আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের প্রধান আসামী নূর হোসেনকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার অব পুলিশ (গোয়েন্দা বিভাগ) তথা অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের প্রধান অনীশ সরকার এই বিষয়টি নিয়ে মুঠো ফোনে জানান ‘নূর হোসেনকে ফেরত দিতে বন্দি বিনিময় চুক্তি মোতাবেক আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও তৈরির কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশের হাতে নূর হোসেনকে তুলে দেওয়া হবে’। উল্লেখ্য গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও বিশিষ্ট আইনজীবি চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়ির চালক সহ সাতজনের অপহরণ ও খুনের ঘটনায় প্রধান আসামী নূর হোসেন সহ তিন জনকে গত ১৪ জুন কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা কৈখালি’র একটি বহুতল আবাসন থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেটর অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) এবং বাগুইহাটি থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৪ বিদেশি নাগরিক আইন (ফরেনারস অ্যাক্ট) লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর প্রথম দফায় আট দিনের পুলিশি রিমান্ডের পর দ্বিতীয় দফায় ১৪ দিনের জন্য কারাগারে প্রেরণ করা হয় নূর হোসেনকে। আপাতত কলকাতা লাগোয়া দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন নূর হোসেন। জেল হাজতবাসের মেয়াদ শেষে আগামী ৭ জুলাই ফের তাঁকে বারাসতের উত্তর চব্বিশ জেলা আদালতে তোলা হবে। নূর হোসেন ছাড়াও তাঁর দুই সহযোগী ওইদুর জ্জামান সালিম এবং খান সুমন-কে ওইদিন তোলা হবে আদালতে। নূরকে ফেরত পেতে গত ২২ জুন ইন্টারপোল মারফত উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা আদালতে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ সরকার। আদালতও সেই আবেদন গ্রহণ করে। বাংলাদেশে সফরকালে ভারতের পররাষ্টমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতকালে সাত খুনের আসামী নূর হোসেনকে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এরপরই নূরকে ফেরত দেওযার প্রক্রিয়ায় গতি পেয়েছে বলে ধারনা। সেক্ষেত্রে ২০১৩ সালে ভারত-বাংলাদেশের দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত বন্দী প্রত্যাপর্ণ চুক্তির পর নূর হোসেনই হবেন প্রথম ব্যক্তি যাকে এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।