তাহিরপুরে ১০ হাজার শ্রমিকের মানবেতর জীবন যাপন

৩ টি কয়লা শুল্কস্টেশন ৪৪ দিন যাবৎ বন্ধ

Tahirpur Coal Stationকামাল হোসেন, তাহিরপুরঃ দেশের উত্তর-র্পূব সীমান্তে অবস্থিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলাটি বাটি অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হলেও রয়েছে প্রকৃতিক সম্পদে ভরপুর। এ উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী ওই ৩ টি শুল্কস্টেশনের আমদানী রপ্তানী সম্পন্ন রুপে র্দীঘ ৪৪ দিন যাবৎ বন্ধ রেেছ। এতে করে ওই কয়লা শুল্কস্টেশনে শ্রমিকের কাজে নিয়োজিত প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক পরিবারের লোকজন অর্ধাহারে অনাহারে কোন রকম দিনাতিপাতসহ করছে মানবেতর জীবন যাপন। অপর দিকে ভারত থেকে কয়রা আমদানীর সাথে জরিত প্রায় ৫’শত এর অধিক ব্যবসায়ী রয়েছে বড় ধরনে লোকসানের মধ্যে। অন্যন দিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব।এক সময়ের মানুষের প্রাণ চাঞ্চল্ল ওই শুল্কস্টেশন গুলোতে নেই কোন মানুষের কোলহল এখন যেন বুঝাজা মৃত মানুষের কবর স্থানের মতো নিরব নিস্তবদ। গতকাল সরেজমিনে বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী ওই ৩ টি শুল্কস্টেশন ঘুরে কয়লা সমিতির সূত্রে জানাযায়, বাংলাদেশের ওপাড়ে মেঘালয় পাহাড় কায়লা খনি থেকে অপরিকল্পিতভাবে কয়লা উত্তোলন করার কারণে পরিবেশের যেমন মারাতœক ক্ষতি হচ্ছে তেমনি খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের সথে জরিড় শ্রমিকে জীবন মারাতœক হুমকির মুখে রয়েছে এমন অভিযোগ করে ভারতে একটি পরিবেশবাদি সংঘঠন ভারতে উচ্চ আদালতে একটি মামলা ককরলে বিগত ১৬ মে থেকে আজঅবদি র্দীঘ ৪৪ দিন ধরে কয়লা আমদানী রপ্তানী বন্ধ রয়েছে। পরে ভারতী কয়লা রপ্তানী কারকরা ওই মামলা বিপরিতে উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদালত পরিবেশের ক্ষতি না করে কয়লা উত্তোলনের পক্ষে রায় দেয়। এবং ওই মামলা প্রথম শুনানী হয় ২ জুন এবং পরবর্তী ৯ জুন ও ১৬ জুন শুনানী পর এর কোন শুরাহ না হওয়ায় প্রায় দেড় মাস যাবৎ বন্ধ থাকার ফলে একদিকে যেমন লোকসানের মুখে পড়েছে কয়লা ব্যবসায়ীরা অপর দিকে কয়লা লোড আনলোড ও ক্যারিংএর সথে জরিত প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক পরিবারের দিন কাটছে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে। এব্যপারে কয়লা সমিতির সভাপতি হাজী আলখাছ উদ্দিন খন্দকারে সাথে আলাপ কলে তিনি বলেন, দেড়মাস ধওে আমদানী বন্ধ থাকার কারণে হাজা হাজার শ্রমিক পরিবারে যেমন দিনকাটছে অতি কষ্টে তেমনি অনেক ব্যবসায়ী রয়েছে ব্যা কের কাছে রিনি। অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংক থেকে টাকা এনে এলসি দেওয়ার পর যার গাড়ি আসার কথা ১০০ টি ওই জায়গায় তার গাড়ি এসেছে ১৫-২০ টি বাকি ৮০ গাড়ি তার ভারতের রপ্তানী কারকদের কাছে পাওনা। এতে করে দেখা যাচ্ছে কয়লা আমদানী শুরু না হলে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা কোন মতেই তাদের (ভারতীয়) কাছ থেকে উদ্ধার করা যাবেনা। কাস্টম সুত্রে জানাযায়, ৪৪দিন যাবৎ কয়লা আমদানী বন্ধ থাকার কারণে প্রতিদিন সরকার ১ কোটি টাকার মত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এত করে ৪৪ দিনে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মত সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ওই ৩টি কয়লা শুলাকস্টেশন থেকে সরকারকে ১শত ৭৪ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এলাকা সচেতন মহলের ধারনা এরকম আরও কিছুদিন স্টেশন গুলো বন্ধ থাকলে এ এলাকায় আগের মত আবারও বৃদ্ধি পাবে চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন গঠনা। তাই ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ সরকারে আন্তরিক প্রচেষ্টায় যদি আবারও কায়লা শুল্কস্টেশন গুলো চালো করা যায় তাহলে একদিকে যেমন কয়লা ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখ থেকে বাচঁবে অপর দিকে এলাকার হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।