শ্রীমঙ্গলে ৭০ ভাগ স্কুলে হয়নি ‘স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন !

বড়লেখায় ১শ ৪৬ ও কুলাউড়ায় ১শ ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন সম্পন্ন

Sreemangal Pic-4মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার : শ্রীমঙ্গলে ৭০ ভাগ স্কুলে হয়নি ‘স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন । উপজেলার ১শ ৩৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও এর মধ্যে ৯৯ টি স্কুল স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের আওতাভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ স্কুলে নির্বাচন হয়নি বলে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার। এছাড়া তারই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপজেলা সেরা স্কুলের খেতাব অর্জনকারী চন্দ্রনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েই এ নির্বাচন হয়নি। তিনি আরো জানান- যে স্কুলগুলোতে নির্বাচন হয়নি সে স্কুলগুলোতে সিলেকশন হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে সারাদেশে ২৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে স্টুডেন্ট কাউন্সিল করার কথা নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়াসহ অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্টুডেন্ট কাউন্সিলের উদ্যোগ গ্রহণ করে। যদিও OLYMPUS DIGITAL CAMERAঅনেক স্কুল তা পালন করছে না। ২৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে ১২টায় দেখা যায় পশ্চিম ভাড়াউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেখানে ভোগগ্রহণ চলছে। কমিশনারের নাম ৫ম শ্রেণীর ছাত্র দুলাল মিয়া এবং প্রিজাইডিং অফিসার ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস চৈতি। তারা দু’জন জানায়- তাদের মোট ভোটার ২শ৪ জন। এ পর্যন্ত ১শ৮০টি ভোট পড়ে গেছে। সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে এবং চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জবা রানী দেব বলেন- ভোটের মাধ্যমে ৭জন প্রতিনিধিকে নির্বাচন করা হবে। পরে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে কর্মবন্টন করা হবে। যে ৭জন নির্বাচিত হবে তাদের জন্য আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে পুরস্কার রেখেছি। ভাড়াউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় সেখানেও ভোটগ্রহণ চলছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্যান দেব প্রশিক্ষণের জন্য স্কুলের বাইরে গেছেন। সেখান থেকে শ্রীমঙ্গল শহরে অবস্থিত দেশসেরা স্কুল চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায় সেখানে এ বছর স্টুডেন্ট কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়নি। কারণ জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার বলেন-এ বছর আমরা ‘সিলেকশন’ এর মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করে ফেলেছি। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন- শ্রীমঙ্গল সত্তরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল হচ্ছে না।
শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা ও নেতৃত্ব বিকাশের লক্ষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী সারা দেশের ন্যায় বড়লেখা উপজেলার ১শ৪৬টি ও কুলাউড়ায় ১শ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন-১৫ইং সম্পন্ন হয়েছে। এই নিয়ে উপজেলায় ৪র্থ বারের মত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন। ২০১২ সালে পরীক্ষামূলক ভাবে ষাটমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ছোটদের নির্বাচন নিয়ে বড়রাও আগ্রহী হওয়ায় বিদ্যালয়ের বাইরে অভিভাবকদের প্রচন্ড ভীড় লক্ষ করা গেছে। কিন্তু অভিভাবকরা কেউই ভেতরে ঢুকতে পারছেননা কারণ বিদ্যালয়ের সামনেই কাগজে টানানো দিক-নির্দেশনা-ভোটার ব্যতীত প্রবেশ নিষেধ। মাথার উপরে গাছের ডালে দেয়ালে সাদা-রঙিন হাতে লেখা-ছাপানো পোষ্টার সদস্য পদে মেধাবি ছাত্র মো: সাফওয়ানকে ভোট দিন, মেধাবি ছাত্রী সুফিয়া আমিন সিদ্দিকাকে ভোট দিন। এটা ছিল বিদ্যালয়ের বাইরের অবস্থা। ভেতরে নির্বাচন কমিশনার, প্রিসাইডিং অফিসার, প্রার্থী, পোলিং অফিসার, এজেন্ট সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত। শৃঙ্খলা মেনে ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণীর ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা সবাই তাদের মুল্যবান ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। একজন প্রার্থী ভোট দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পর ওপর প্রার্থী কেন্দ্রে ঢুকে তার ভোট প্রয়োগ করছে। শিক্ষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে- সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে ১টায় শেষ হয়। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে বেলা ২টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করার সংবাদ পাওয়া যায়। যতা নিয়মেই ফলাফল ঘোষণার পরপরই শুরু হল উল্ল্যাস। কোথাও কোথাও মিষ্টি বিতরণ করেছেন বিজয়ী প্রার্থীর অভিভাবকরা। বিজীত প্রার্থীরাও দেখাল মহানুভবতার নিদর্শন। তাদের কচি মনে নোংরা রাজনীতির আঁচ যে লাগেনি তা বুঝা গেল কিছুক্ষণ পরেই। সামান্য কিছু সময় পর তারাও এসে যোগ দিল আনন্দে। উল্লেখ্য- প্রতিটি কাউন্সিলে নিয়মানুযায়ী ৭জন করে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ বিষয়ে বড়লেখা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হেমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ জানান- উপজেলার ১শ৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটিতেই স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুমুল উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে। এই নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে শিশুরা গণতন্ত্র সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষা লাভ করতে পারবে ও নিজেদের অধিকার মতামত সম্পর্কে জানতে পারবে। যা তাদেরকে ভবিষ্যতের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। সফল ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য তিনি সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবক ও এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান। অপরদিকে, কুলাউড়া উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে স্টুডেন্ট কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ স্টুডেন্ট কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। জয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ জয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২শ৮৫ জন ভোটারের মধ্যে ২শ১২ জন ছাত্র-ছাত্রী উক্ত কাউন্সিলে ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণীর ক্ষুদে ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচিতরা হলেন, ৫ম শ্রেনীর নাজমুল ইসলাম ফাহাদ ১শ২২ভোট পেয়ে প্রথম, নাজমুল মিয়া ১শ১১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় ও এমদাদুল ইসলাম সাজ্জাদ ৭০ ভোট পেয়ে ৭ম হয়েছেন। অপরদিকে চতুর্থ শ্রেনীতে সাদিয়া জান্নাত চৈতি ১শ৩৫ ভোট পেয়ে প্রথম ও তামিম আহমদ চৌধুরী ৭০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেনীতে যারীন সাবাহ্ ঐশী ১শ৪৪ ভোট পেয়ে প্রথম ও নুশরাত আলম মীম ৯৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। উক্ত স্টুডেন্ট কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন ৫ম শ্রেনীর ছাত্র মোস্তাকিম আহমদ, প্রিজাইডিং অফিসার ৫ম শ্রেনীর ছাত্র আল-শাহরীয়ার রাফি, শেখ তান জিলুর এবং পোলিং অফিসার মুন্নি আক্তার, শাকিলা আক্তার শীমু, আরমান পারভেজ বখ্শ ও মোহন মালাকার। নির্বাচন কমিশনার মোস্তাকিম আহমদ ও প্রধান শিক্ষক শেলী বেগম নির্বাচনের সকল কাজ যৌথ স্বাক্ষরে স্টুডেন্ট কাউন্সিলে নির্বাচন সম্পন্ন করেন। সার্বিক ভাবে সন্বনয়কারী ও সহায়তা করেন শিক্ষিক্ষা ছবিরানী নাহা, মমতাজ সুলতানা, শামছুর নাহার, মনিকা পাল, কাবেরী পাল, স্নিগ্ধা ভট্টাচার্য্য।
বিএইচ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ বিএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩শ ৮ জন ভোটারের মধ্যে ১শ৮৪ জন ছাত্র-ছাত্রী উক্ত কাউন্সিলে ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণীর ক্ষুদে ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচিতরা হলেন, ৫ম শ্রেনীর ইলিয়াছ আলী ১শ২০ভোট পেয়ে প্রথম, তানজিলা আবেদীন মীম ৫৬ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। অপরদিকে চতুর্থ শ্রেনীতে সিদরাতুল মুরসালিন রিয়াদ ৬৩ ভোট পেয়ে প্রথম ও ফারিয়া ভুইয়া মাইশা ৫০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেনীতে মাহবুবুর রহমান ১শ৩৩ ভোট পেয়ে প্রথম ও অনামিকা চক্রবর্তী ঐশী ৫৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন এবং একই শ্রেনীর সাগর পাল ৮৮ ভোট পেয়ে ৭ম হয়েছে। উক্ত স্টুডেন্ট কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী রাফসানা রহমান। প্রিজাইডিং অফিসার জাওয়াদ জাকারিয়া নাফি, নাসিফ রেজওয়ান চৌধুরী ও মাঈশা জাহান ও পোলিং অফিসার সৈয়দ আশফাক উদ্দিন, কাফী আল ফাতেহা সামিউল হাসান রাফি, মোঃ আশরাফুর রহমান, এস এম সামি উল ইসলাম, রেবেকা সুলতানা। নির্বাচন কমিশনার রাফসানা রহমান ও প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল কাইয়ূম নির্বাচনের সকল কাজ যৌথ স্বাক্ষরে স্টুডেন্ট কাউন্সিলে নির্বাচন সম্পন্ন করেন।
রাবেয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ রাবেয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪শ১০জন ভোটারের মধ্যে ৩শ৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী উক্ত কাউন্সিলে ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণীর ক্ষুদে ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচিতরা হলেন, ৫ম শ্রেনীর জান্নাতুল মাওয়া আদিবা ৮৬ ভোট পেয়ে প্রথম, ইশরাত জাহান হৃদি ৬৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। অপরদিকে চতুর্থ শ্রেনীতে ফারজানা আক্তার ইমা ১শ ৮ ভোট পেয়ে প্রথম ও মাসহুদুল ইসলাম মাহিম ৭০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেনীতে রিফফাত রফিক হৃদি ১শ৫০ ভোট পেয়ে প্রথম ও তাসনিমা আক্তার সাবাবা ১৪০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন এবং একই শ্রেনীর বন্দন ভট্টাচার্য্য ৮১ভোট পেয়ে ৭ম হয়েছে। উক্ত স্টুডেন্ট কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন ৫ম শ্রেনীর ছাত্র রওনাক রহমান রোহান এবং প্রিজাইডিং অফিসার ইশসামুল ইসলাম, প্রশান্ত দাস, এম এম সুপর্ন সারওয়ার ও আহসান আব্দুল্যাহ রাতুল। নির্বাচন কমিশনার রওনাক রহমান রোহান ও প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস ছালাম নির্বাচনের সকল কাজ যৌথ স্বাক্ষরে স্টুডেন্ট কাউন্সিলে নির্বাচন সম্পন্ন করেন।
লস্করপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ লস্করপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১শ৩৩জন ভোটারের মধ্যে ১শ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রী উক্ত কাউন্সিলে ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণীর ক্ষুদে ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচিতরা হলেন, ৫ম মোঃ মুন্না মিয়া ৮৪ ভোট পেয়ে প্রথম, অলিমা বেগম ৭৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। অপরদিকে চতুর্থ শ্রেনীতে মালিহা জাহান চৌধুরী তারিন ৬৪ ভোট পেয়ে প্রথম ও সামিয়া আক্তার বৃষ্টি ৬০ ভোট পেয়ে ২য় হয়েছে এবং ৩য় শ্রেনীতে নুশরাত চৌধুরী ৮৮ ভোট পেয়ে প্রথম, রিমি বেগম ৬০ ভোট পেয়ে ২য় ও একই শ্রেনীর সাহিম বিন ইসলাম ৪৬ ভোট পেয়ে ৭ম হয়েছেন। উক্ত স্টুডেন্ট কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন ৫ম শ্রেনীর ছাত্র নুরে রহমান তাবওয়া ও প্রিজাইডিং অফিসার তাহমিদ আহমদ চৌধুরী এবং পোলিং অফিসার তাহমিনা আক্তার প্রমি। নির্বাচন কমিশনার নুরে রহমান তাবওয়া ও প্রধান শিক্ষক মোছাৎ রাহাত আরা নির্বাচনের সকল কাজ যৌথ স্বাক্ষরে স্টুডেন্ট কাউন্সিলে নির্বাচন সম্পন্ন করেন। কুলাউড়া উপজেলার শিক্ষা অফিসার শরীফ উল ইসলাম জানান- শান্তিপূর্নভাবে ১শ ৮০টি প্রাইমারী স্কুলে সকাল ৯ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত স্টুডেন্ট কাউন্সিলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখ্য- কুলাউড়া উপজেলায় সরকারী ১শ ৮০টি প্রাইমারী স্কুলে স্টুডেন্ট কাউন্সিলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচিতরা পরবর্তীতে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণীর ২ জন করে শিক্ষার্থীকে কমিটিতে যোগ করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করবেন। এ কমিটির একজন সভাপতি এবং একজন সাধারণ সম্পাদক বাদে অন্য ১৫ জন সাধারণ সদস্য থাকবেন। ওই কমিটি ১ বছর বিদ্যালয়ের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, দুপুরের খাবার, স্বাস্থ্য শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দায়িত্ব পালন পালন করবেন।