চা-বাগানের ২২ লাখ টাকা ছিনতাই : পুলিশ পরিবারের সদস্য সহ আটক আরো ৩
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ ফতেপুর চা-বাগান ব্যবস্থাপকের ২২ লাখ টাকা ছিনতাই’র ঘটনায় আরো তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল পৃথক স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটকদের সবাই পুলিশ পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে সাজুকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ভাগ বাটোয়ারার ৫৫ হাজার ৫শ টাকা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে সাজুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঝলক এবং তাদের সোর্সকে আটক করা হয়। তবে ছিনতাইকারীদের ওই সোর্সের নাম জানা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর পুলিশের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, আটক সাজু অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তার (এসআই) ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। সে আরো কয়েকটি ছিনতাই ঘটনায় অভিযুক্ত। সূত্র জানায়, এ ঘটনায় আটক ঝলক দক্ষিণ সুরমা থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্যের ভাই। তাদের দেওয়া তথ্য মতে সংঘটিত ছিনতাই ঘটনার সোর্সকেও আটক করেছে পুলিশ।
ছিনতাইর ঘটনার সঙ্গে মহানগর পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদবির আরেক পুলিশ সদস্য জড়িত রয়েছেন বলে আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়। তবে পুলিশের ভাবমূর্তি যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, সে জন্য তাদের আটকের খবর সংবাদ মাধ্যমে গোপন রাখা হয়। এদিকে, সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি বলেন, ছিনতাইর ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
অপরদিকে, সোমবার রাত আটটার দিকে ছিনতাইয়ের শিকার ফতেহপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক ইয়াছিন ওসমানের ছেলে ইয়াহিয়া লিলুকে মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি আসামিদের শনাক্ত করেন। সোমবার দিনগত রাত সোয়া একটার দিকে পুলিশ আটকদের নিয়ে জড়িত অন্যদের আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে বেরুনোর প্রস্তুতি নেয়।
এর আগে ১৮ জুন এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নগরীর বাগবাড়ি এলাকা থেকে সুমন আহমদ (৩২) ও রাজন আহমদ (২৫) নামে দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। তাদের ওই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক দেখানো হয়।
১৬ জুন (সোমবার) বিকেলে সিলেট নগরীর নয়াসড়ক খাজাঞ্চিবাড়ি স্কুলের সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন ফতেহপুর চা-বাগান মালিক ইয়াসিন ওসমানের ছেলে মো. ইয়াহিয়া লিলু।
সাতটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকারে করে এসে ছিনতাইকারীরা তার বহনকারী গাড়ি আটকে ভাঙচুর করে এবং ধারালো অস্ত্র ধরে গাড়িতে থাকা নগদ ২২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় রাতেই সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন মো. ইয়াহিয়া।