১৫ স্ত্রী ও ২৬ সন্তান ! ১৫ কোটি টাকা সরকারী ভাতা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ১৫ জন স্ত্রী ও ২৬ ছেলেমেয়ে নিয়ে বড় এক সংসারের মালিক হয়েছেন পিটার রোলফে। তিনি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় পরিবারের কর্তা। ৬৪ বছরের পিটার কোনো কাজকর্ম করেন না। সরকারি ভাতা তুলেই চলছে তার সংসার। দীর্ঘদিন ধরে নিউপোর্টের এক সরকারি বাড়িতে সপরিবারে বসবাস করছেন পিটার। কিন্তু মাত্র ৪ শয়নকক্ষের এ বাড়িতে এতগুলো মানুষ থাকাটা খুবই কষ্টকর। এ নিয়ে গত মার্চ মাসে মানবাধিকার লঙ্ঘণের অভিযোগ ওঠে। তখনই তার ১৫ নারী সঙ্গিনী আর ২৬ ছেলেমেয়ের খবর সংবাদ মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়।
এর আগে তিনি তার ১০ স্ত্রী এবং মাত্র ১৮ ছেলেমেয়ের কথাই কেবল স্বীকার করতেন। এদের জন্যই তিনি কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের কাছে ৬ কামরার একটি করমুক্ত বাড়ির জন্য আবেদন জানিয়ে আসছিলেন।
পিটারের এ বড় সংসার নিয়ে সম্প্রতি ব্রিটেনের চ্যানেল-৫ টেলিভিশনে একটি ডকুমেন্টারি প্রচারিত হয়।
ডেইলি এক্সপ্রেস পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পিটার বলেন, ২৬ জন সন্তান সন্ততির দেখভাল করাটা অত্যন্ত কঠিন কাজ, যখন তাদের জন্ম ভিন্ন ভিন্ন মায়েদের ঘরে।যুক্তরাজ্যে বেনিফিট সিস্টেমের আওতায় পিটার বছরের ৫ লক্ষ পাউন্ড বা বাংলাদেশী টাকায় ১৫ কোটি টাকা পেয়ে থাকেন. বর্তমান বাড়িটিকে প্রিজন সেল হিসেবে উল্লেখ করে এখনো একটি বড় মাপের বাসভবনের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলের কাছে ধর্না দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু তার এই বিশাল পরিবারের কথা জানাজানি হওয়ার পর দেশের এসব বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তদের নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।
সাবেক এমপি অ্যান উইডেকোম্বে এ অবস্থার জন্য পিটারকে ব্রিটেনের সবচেয়ে অথর্ব বাবা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গত ২০ বছর ধরে বেকার বেকার হয়েও পিটার সরকারি ভাতায় সপরিবারে দিন পার করছেন। তবে যুক্তরাজ্যে এমন আরো বহু পরিবার রয়েছে।
বেশি পরিমাণ ভাতা পাওয়ার জন্যই তারা পরিবার বড় করতে থাকেন। সুবিধাপ্রাপ্ত এসব পরিবারের সদস্য সংখ্যা সর্বোচ্চ কত হওয়া উচিত সরকার তা নির্দিষ্ট করে দেয়নি।
এই খাতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত সাধারণ মানুষ। এছাড়া করদাতারাও এখন বিরক্ত। যুক্তরাজ্যে বর্তমানে বেনিফিট খাতে ১৬৭.৭ বিলিয়ন ইউরো ব্যয় হয়ে থাকে। ২০১৮-১৯ সাল নাগাদ এ ব্যয় বেড়ে ১৭১.৫ ইউরোতে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।