ইরাকে বাসায় বাসায় গিয়ে নারী খুঁজছেন জঙ্গিরা?

iraq terorristসুরমা টাইমস ডেস্কঃ ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের আরো দুটি শহর দখল করেছে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্যা লিভ্যান্ট (আইএসআইএস )। এর পাশাপাশি ইরাক ও সিরিয়া সীমান্তে কৌশলগত দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্রসিং পয়েন্টেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা।
লন্ডনের ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, দখল নেয়ার পর আইএসআইএস সদস্যরা ঐসব শহরের ঘরে ঘরে গিয়ে নারীদের খুঁজছেন।জঙ্গিরা বলছেন, এই বাসায় কি বিবাহিত বা অবিবাহিত কোনো নারী আছে? আবু লাহিদ নামে এক বাসিন্দার বরাত দিয়ে পত্রিকা জানান, জঙ্গিদের প্রশ্নের জবাবে লাহিদ তাদেরকে দুই জন অবিবাহিত মেয়ে থাকার কথা জানালে জঙ্গিরা বলেন, আমাদের দলে অবিবাহিত মুজাহিদ রয়েছে।তারা বিয়ে করতে চায় এবং তাদের বউ দরকার।পরে ঘরের ভিতর ঢুকে তারা মহিলা অবিবাহিত কি না তা যাচাই করার জন্য তাদের আইডি কার্ড চেক করেন।এ প্রসঙ্গে আইএসআইএসের বক্তব্য হচ্ছে স্থানীয়রা যাদি সুন্নি হয় তাহলে তাদেরকে যেন বিরক্ত করা না হয় সে ব্যাপারে তাদের সদস্যদেরকে বলে দেয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে ইরাকের বিভিন্ন শহর দখলে নেয়ার পর জঙ্গিরা অনেক জায়গায় সমাজবিরুদ্ধে কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে মানুষজন ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে অনেক।
ইরাকের নিরাপত্তা সুত্র জানিয়েছে,তাকফিরি সন্ত্রাসীরা গতকাল শনিবার ইরাকের আনবার প্রদেশের রাভাহ ও আনাহ শহরের দখল নিয়েছে।কাইম ক্রসিং পয়েন্ট থেকে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ও আন-নুসরা ফ্রন্টের গেরিলাদের প্রত্যাহার করে নেয়ার পর আইএসআইএল সন্ত্রাসীরা ক্রসিং পয়েন্ট ও তার আশাপাশের এলাকা দখল নেয়। প্রায় এক সপ্তাহ আগে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ও আন-নুসরা ফ্রন্ট সীমান্তের ইরাকের অংশ দখল করে নিয়েছিল।
কাইম সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নেয়ার পর সেখানকার সাধারণ লোকজন পূর্বদিকে পালিয়ে গেছে।
গত ১০ জুন থেকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলের বিরাট এলাকা দখল করে নিয়েছে আইএসআইএল সন্ত্রাসীরা। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলের দখল নেয়ার পর দেশটির প্রখ্যাত আলেম আয়াতুল্লাহ আলী সিস্তানি তাকফিরি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে জনগণকে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার আহ্বান জানান। এ পর্যন্ত প্রায় দু লাখ ইরাকি যুদ্ধের জন্য নাম লিখিয়েছে।