ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু : মিরবক্সটুলায় হাসপাতাল ভাংচুর
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ‘ভুল’ চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মিরবক্সটুলাস্ত সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভাংচুর হয়েছে। নিহত শিশু নুসরাত (১১মাস) নগরীর শেখঘাট কলাপাড়ার ডহর ৭৬ নম্বর বাসার নাজমুল হোসেন ও রেফা বেগমের কন্যা। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর স্বজনরা জানান, শ্বাস কষ্টে ভোগায় গত ১৯ জুন উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এ ব্লকের ১ নম্বর ভর্তি করা হয় নুসরাতকে। সেখানে গত কয়েকদিন ধরে তার চিকিৎসাশেষে সে সেরেও উঠছিল। রোববার তার রিলিজ হওয়ারও কথা ছিল। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে হাসপাতালের নার্স ওলিভিয়া সামার সেরোজিড (৫০০ মিলিগ্রাম) নামের একটি ইনজেকশন পুশ করেন। এ কারণে শিশুটি আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যেতে থাকে। তাকে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। সকাল ১০টার দিকে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এদিকে, মৃত্যুর পর শিশুটির স্বজনরা তৃতীয় তলায় সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের চেম্বার ও হাসপাতালের কাউন্টার ভাংচুর করেন। শিশুটি ডা. রাশেদুল হকের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিল। ওই সময় হাসপাতালের পরিচালক আমজাদ হোসেন চৌধুরী, বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর আব্দুল মালিক ও উইমেন্স মেডিক্যালের পরিচালক, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল মতিন শিশুটির লাশ পর্যবেক্ষণ করে আসেন। এরপর তারা এক বৈঠকে বসেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা: রাশেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সমাধান হয়েছে। ২ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের উপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়াহবে। শিশুটির স্বজনরা জানান, বেলা ১টায় তদন্ত কমিটি গঠন করায় এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়ায় আমরা লাশ বাড়িতে নিয়ে এসেছি।
কোতয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান বাবুল জানান, হাসপাতালের পরিচালক আমজাদ হোসেন চৌধুরী, বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর আব্দুল মালিক ও উইমেন্স মেডিক্যালের পরিচালক, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: আব্দুল মতিন শিশুটির লাশ পর্যবেক্ষণ করে আসেন। এরপর তারা এক বৈঠকে বসে ২ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের উপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়াহবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।