জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকা গণতন্ত্র নয় : সুব্রত চৌধুরী
বিএনপি-জামাতের উপর সকল দায় চাপিয়ে সরকার দায় এড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ট্রান ঐক্য পরিষদ’র প্রেসিডিয়াম সদস্য, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, বিচার হীনতার যে সংস্কৃতি আমাদের দেশে শুরু হয়েছিল সে সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কেবল আইনের শাসন প্রতিষ্টিত হলেই দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে। মানুষে মানুষে বৈষম্য দূর হবে। তিনি গতকাল রাতে দৈনিক সবুজ সিলেট অফিস পরিদর্শন ও কমরত সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় এ কথা বলেন।
সুব্রত চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকে বাম ধারার রাজনীতির সাথে জড়িত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পেশায় উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ১৯৯১ সালে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। স্বল্প সময়েই তিনি আইন পেশায় সুনাম অর্জন করেন। মানবাধিকার, সাংবিধানিক সংকট, সাম্প্রদায়িক সহিংসতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি মামলা পরিচালনা করছেন। রয়েছেন রাজনীতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সহ সভাপতি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ট্রান ঐক্য পরিষদ’র প্রোপট তুলে ধরে বলেন, এরশাদ সরকারের আমলে যখন ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয় তখন অন্যান্য ধর্মাবম্বীদের অধিকার ুন্ন হয়। সমাজ বা রাষ্ট্রের কোন একটি সম্প্রদায়ের প্রতি এমন মনোভাব গোটা সমাজ বা রাষ্ট্রের প্রগতিকে চরমভাগে বাধাগ্রস্থ করে। এ সময় অন্যান্য ধর্মের লোকদের অধিকার সংরক্ষনের জন্য এ সংগঠন করা হয়। আজো আমরা এ আইন বাতিলের জন্য জনমত সৃষ্টি করছি। আদালতেও রায়ের অপেক্ষায় আছি।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত বলেন সাথিয়া, রামু, উখিয়া, সাতক্ষিরা, হাটহাজারী যেখানেই সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে সেখানেই হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রীষ্ট্রান ঐক্য পরিষদ নির্যাতিতদের পাশে দাড়াচ্ছে। মামলার তদারকি করছ্। সুব্রত চৌধুরী বলেন, সব সরকারই আমাদের নিয়ে রাজনীতি করছে। বিএনপি-জামাত মনে করে হিন্দুদের ভোটেই আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যায় তাই তাদের ভোট ব্যাংক ভাংতে হবে। এ কারনেই বারবার আমাদের উপর হামলা করা হয়। অন্যদিকে আওয়ামীলীগ বিএনপি-জামাতের উপর সকল দায় চাপিয়ে সরকার দায় এড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে আওয়ামীলীগ-যুবলীগ হামলার সাথে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেলেও তাদের কোন বিচার হয়না।
হিন্দুদের দ্বারা হিন্দু ধর্মাবলম্ভীরা নিযাতিত হয় কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সুব্রত চৌধুরী বলেন, মাঝে মাঝে সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়্। এছাড়া দেবোত্তর সম্পত্তির দখল নিয়ে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এটা নির্যাতন বলা চলেনা।
জাতীয় নির্বাচন-সরকার, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সুব্রত চৌধুরী বলেন, জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকা গণতন্ত্র নয়। সরকার যেভাবে আজ ক্ষমতায় সেটা আমরা চাইনি। তারপরও আমরা ভেবেছিলাম আইনের শাসন প্রতিষ্টিত হবে, দুর্নীতির লাগাম সরকার টেনে ধরবে। কিন্তু তা হয়নি। তবুও আমরা একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।