ওসমানী হাসপাতালে আরেক লাঠিয়াল বাহিনী

ঢুকতে গেলেও ১০ টাকা, বের হতে গেলেও ১০ টাকা!
দেখার কেউ নেই, প্রশাসন নিরব।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী পরির্দশন ও রোগীর খবর নেওয়া খুবই জরুরী প্রয়োজন।

Osmani medical College Hospitalহোসাইন চৌধুরী, খলিলুর রহমান স্টালিনঃ প্রজাতন্ত্রের সেবক হওয়াতো দুরের কথা, রুগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাতো দুরের কথা। এ যেন রুগী ও রুগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে আরেক লাঠিয়াল বাহিনী। দশ টাকা না দিলে রোগীর কাছে যাওয়া যাবে না। প্রতিবাদ করলে সদলবলে ধর ধর বলে সুর-চিৎকার। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৪র্থ তলায় ৬নং মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল এমন দৃশ্য।
রোগী ও তাদেরকে দেখতে আসা স্বজনরা জানান, ওই ওয়ার্ডে ঢুকতে হলে গেইটম্যানকে ১০টাকা করে দিতে হয়। পরে রোগী দেখে বা প্রয়োজন শেষে ওয়ার্ড থেকে বাহির হতে হলে আবার বিপত্তি। এক্ষেত্রেও ১০ টাকা দিয়ে বাহির হতে হয়। গেইটম্যানদের এমন অপকর্মে ক্ষুব্ধ চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষজন।
হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের রোগী ভর্তি করার পর কোন স্বজন যদি ওই রোগীকে দেখতে যান, তাহলে একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়। গ্রীষ্মকালীন সময়ে অর্থাৎ ১৫ মার্চ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত স্বজনদের জন্য রোগী দেখা উন্মুক্ত থাকে। আর শীতকালে অর্থাৎ ১লা নভেম্বর থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত সময়ে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত থাকে উন্মুক্ত। এ সময় ছাড়াও অন্য যে কোন সময়ে টিকেট নিয়ে রোগীর সঙ্গে দেখা করা যায় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে এ ক্ষেত্রে এক রোগীর জন্য ১জনই টিকেট নিতে পারবেন।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার বিকালে হাসপাতাৈেলর ৬নং মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ওই ওয়ার্ডটির গেইটে তালা লাগানো রয়েছে। তবে গেইটে একজন গেইটম্যান রয়েছেন। তিনি কাউকে প্রবেশ করতে দিতে নারাজ। তবে ১০ টাকা দিলে তিনি যে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন। তবে বাইরে আসতে হলেও তাকে পুনরায় ১০ টাকা দিয়েই বের হতে হয়।
এ ব্যাপারে ওই গেইটম্যানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি এই প্রতিবেদনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এ সময় প্রতিবেদক মোবাইল দিয়ে তার ছবি তুলতে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি “এই ছেলেটাকে ধর ধর” বরে অন্য আরেক জন গেইটম্যানকে বলেন।
এদিকে, সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের কষ্টের শেষ নেই। তারা প্রতিক্ষনই কোন না কোনভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এতে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের কাজে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। এমনকি রোগীদের সাথে আসা স্বজনরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ভোক্তভোগীরা জানান, তারা যদি টাকা না দেন তবে দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে রাখে গেইটম্যানরা। কোন অবস্থায় রোগীর কাছে যেতে দেয়া হয় না। এ নিয়ে কিছু বলতে গেলে কয়েকজন গেইটম্যান একত্রিত হয়ে উল্টো গালিগালাজ করেন। যার ফলে আত্মসম্মানের ভয়ে কেউ কিছু বলেন না।