বিয়ানীবাজারে চাদা না পেয়ে ব্যাবসায়ীকে হাওরে ডুবিয়ে হত্যা

Human Chain lautaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিয়ানীবাজারে চাদা না পেয়ে এক চামড়া ব্যাবসায়ীকে মারধর করে কাজিরবন হাওরে ফেলে ডুবিয়ে হত্যার অভিযগ উঠেছে। উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের কাজির বন হাওর থেকে বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত ছফই মিয়ার ছেলে বারইগ্রামের চামড়া ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনের (৪৫) এর লাশ উদ্ধার করেছে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
Belal Bodyপ্রত্যক্ষদর্শী ভাষ্যমতে- মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে বারইগ্রামে জুয়ার আসরে ধাওয়া করে পুলিশ। এসময় পুলিশের সাথে ছিল লাউতা ইউনিয়নের চৌকিদার দফই মিয়ার ছেলে কাদির ও চৌকিদার আরব আলীর ছেলে মস্তান আলী। ধাওয়া খেয়ে প্রাণরক্ষার্থে জুয়াড়ীরা পার্শ্ববর্তী কাজিরবন হাওরে ঝাপ দেয়। এসময় দুই জুয়ারি হাওর সাঁতরে পাড়ে ওঠতে পারলেও বেলাল নিখোঁজ থাকে। বৃহস্পতিবার তার লাশ হাওর থেকে উদ্ধার করা হয়।
তবে বেলালের পরিবারের দাবি বেলাল চামড়া ব্যবসায়ী। বেলালের কাছে দুই চৌকিদার তার কাছে চাদা দাবি করে। এসময় বেলালকে বেদড়ক লাঠি পেটা করে তার ডান হাতের কবজির উপর আঘাত করলে হাত ভেঙে যায় এবং তার মাথায়ও আঘাত করে এরপর তাকে নদীতে ফেলে দেয়। হাওরে পড়ার পর সে পাড়ে থাকা চৌকিদারদের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইলেও তারা পারে ওঠতে দেয়নি। একসময় সে পানিতে তলিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে বড়লেখা ও গোলাপগঞ্জ থানার মধ্যবর্তী কাজিরবন্দ হাওরে তার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় জনতা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
বেলাল উদ্দিনের হত্যাকারীদের শান্তির দাবীতে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং জনপ্রতিনিধি লোকজন বারইগ্রাম বাজারে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছেন। সমাবেশে বক্তব্য বক্তারা বলেন অবিলম্বে হত্যাকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করে বিচারে আওতায় না আনলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। বেলাল ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তানের জনক। তার বড় মেয়ে (৯) ৩য় শ্রেণীতে, ২য় মেয়ে (৬) ১ম শ্রেণিতে পড়ে এবং একমাত্র ছেলেটির বয়স ২ বছর। বর্তমানে বেলালের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। বেলালের স্ত্রীর বলেন, ‘যারা আমার নির্দোষ স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তাদের শাস্তি দাবী করছি।’