মুখোমুখি মেয়র আরিফ – কাউন্সিলর লোদী : সংবাদ সম্মেলনে বিষোদগার
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেন সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিলেট মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। রোববার বিকালে নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ বিষোদগার করেন।
কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী বলেন-‘নগর পিতা’ সিটি করপোরেশনের অভিভাবক আরিফুল হক চৌধুরী ইচ্ছে করলে তাৎনিক বিষয়টি সমাধান করতে পারতেন। তিনি তা না করে সাদা কাগজে উপস্থিত কাউন্সিলদের মতামত চাইলেন। সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মতামতকে উপেক্ষা করে গঠনতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে আমার উপর অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন মেয়র আরিফ। তা সম্পূর্ন বেআইনী। যা আমার উপর অবিচার করা হয়েছে।’
লোদী বলেন-গত ১০ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নিয়মিত মাসিক সভায় আমি উপস্থিত ছিলাম। সভার এজেন্ডা অনুযায়ী সকল আলোচনা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমি অংশ গ্রহণ করি। সভার শেষ পর্যায়ে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে কয়েকজন কাউন্সিলর কোন অভিযোগ না তুলেই আমাকে প্যানেল মেয়র থেকে পদত্যাগ করার দাবি তুলেন। তখন বিষয়টি আমার কাছে টাটকা-মশকরা মনে হয়েছিল।
তিনি বলেন- সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর কোথাও এভাবে কোন প্যানেল মেয়রকে পদত্যাগের অনুরোধ জানানোর বিধান নেই। আইনের ১৪ ধারায় অনাস্থা প্রস্তাবে বলা হয়েছে (১) এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন বা গুরুতর অসাদাচরনের অভিযোগে করপোরেশনের মেয়র বা কোন কাউন্সিলরে বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করা যাইবে। (২) নির্ধারিত কর্তৃপরে নিকট মেয়র বা ত্রেমত কোন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়নের েেত্র, করপোরেশনের নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের মোট সংখ্যার সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের স্বারে উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত অভিযোগের বিবরন লিপিবদ্ধ করিয়া একটি প্রস্তাবের নোটিশ, একজন কাউন্সিলকে ব্যক্তিগতভাবে দাখিল করিতে হবে। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত নির্ধারিত কর্তৃপ এক মাসের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত করিবেন। অভিযোগ প্রমানিত হলে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবেন। (৪) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব সন্তোসজনক বিবেচিত না হলে ১৫ দিনের মধ্যে প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য কাউন্সিলরগণের নিকট সভার নোটিশ প্রেরণ করিবেন।
সিটি করপোরেশনের আইন অনুযায়ী আমি যদি কোন বিধান লঙ্ঘন করতাম বা অভিযুক্ত হতাম এবং যথাযথ নিয়ম মেনে আমার বিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হত তা হলে আমার বলার কিছু ছিলো না।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কয়েছ লোদী বলেন, মেয়র আরিফ সভায় এ অনাাঙ্খিত ঘটনাটি সমাধান না করে বিষয়টি নিয়ে গঠনতন্ত্র বিরোধী পদপে নেয়ায় আমি মহান আল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থী। ১০ জুনের সভায় আমাকে নিয়ে কেনো এমন করা হলো? এর জন্য দায়ী কে? এমন প্রশ্ন তিনি নগরবাসীর রাখেন। কয়েছ লোদী বলেন, সেদিনের সভায় মেয়র আরিফ ইচ্ছে করলে বিষয়টি শেষ করতে পারতেন। কেনও যে তিনি বিষয়টি শেষ করেন নাই তা মেয়র নিজেই ভালো জানেন।