সিলেটে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় ছাত্রদলকর্মী খুন

taohidul islamসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেটে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় এক ছাত্রদলকর্মী খুন হয়েছেন। তার নাম তাওহীদুল ইসলাম। তিনি শরীয়তপুর জেলার শামছুর রহমানের ছেলে। তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। বুধবার রাত ৮টা ৩৬ মিনিটে ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খুনের ঘটনায় ছাত্রলীগকে দায়ি করেছে বিএনপি ও ছাত্রদল।
জানা যায়- বুধবার সন্ধ্যায় আবু সিনা ছাত্রাবাসের ১০০৩ নং রুমের ভেতর তাওহীদুল ইসলামের উপর কয়েকজন যুবক হামলা চালায়। তারা কুপিয়ে তাকে গুরুতর  আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। রাত ৮টা ৩৬ মিনিটে ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের ক্যাডাররাই হামলা চালিয়ে তাওহীদকে খুন করেছে। তিনি বলেন, তাওহীদ তার মা-বোনকে নিয়ে কাজলশাহ এলাকায় থাকতেন। বুধবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ কর্মী রাফি তাওহীদকে বাসা থেকে ডেকে আবু সিনা ছাত্রাবাসের ১০০৩ নং রুমে নিয়ে আসে। সেখানেই তাওহীদকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। আশিকুর রহমান দাবি করেন, আহত হওয়ার পর ছাত্রলীগ কর্মী শরিফুল ইসলামই তাওহীদকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তাওহীদ আহতের খবর পেয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহরীয়ার হোসেন চৌধুরী। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান- আবু সিনা ছাত্রবাসে ছাত্রদল কর্মীদের রুমে নিয়ে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা মারধর করে। বিষয়টি ৬ মাস আগে ওসমানী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেননি। তাওহীদকে আবু সিনা ছাত্রাবাসের ভেতর খুন করে তার লাশ ওসমানীতে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাওহীদ খুনে ছাত্রলীগ জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, ছাত্রদলের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধের কারণেই এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ছাত্রদল নিজ দায় ছাত্রলীগের উপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে।কোতোয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান জানান- তাওহীদের খুনের কারণ তদন্ত ও ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।